জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কাউন্সিলের (NDMC) সভাপতি কে?
A
রাষ্ট্রপতি
B
প্রধানমন্ত্রী
C
স্পিকার
D
ত্রাণ মন্ত্রী
উত্তরের বিবরণ
NDMC (National Disaster Management Council):
-
বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কমিটি; সভাপতিঃ প্রধানমন্ত্রী।
-
ভূমিকা: দুর্যোগ পূর্ব প্রস্তুতি, প্রতিক্রিয়া, পুনর্বাসন ও অভিযোজন কৌশল নির্ধারণ।
-
কাঠামো: বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থা ও স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিনিধির সমন্বয়।
-
প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন করেন নীতিমালা, বাজেট বরাদ্দ ও আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয়।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট কমিটি:
-
NDMC – National Disaster Management Council
-
NDMAC – National Disaster Management Advisory Committee
-
DDMC – District Disaster Management Committee
-
UZDMC – Upazila Disaster Management Committee
-
UDMC – Union Disaster Management Committee
0
Updated: 1 month ago
'সেন্দাই ফ্রেমওয়ার্ক' কোন বিষয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট?
Created: 1 month ago
A
ক্ষতিকর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা
B
দুর্যোগের ঝুঁকিহ্রাস
C
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা
D
জলাভূমির যথাযথ ব্যবহার
সেন্দাই ফ্রেমওয়ার্ক: দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস এবং স্থিতিশীল ভবিষ্যতের নীলনকশা
২০১৫ সালের ১৪ থেকে ১৮ মার্চ জাপানের সেন্দাই শহরে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের তৃতীয় দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস বিষয়ক সম্মেলনে সেন্দাই ফ্রেমওয়ার্ক : ২০১৫-২০৩০ গৃহীত হয়। এই আন্তর্জাতিক চুক্তিটি ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস করার একটি সুস্পষ্ট রূপরেখা প্রদান করে।
এই ফ্রেমওয়ার্ক অর্জনের জন্য সাতটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে:
- বিশ্বব্যাপী দুর্যোগে মৃত্যুর সংখ্যা হ্রাস: দুর্যোগের কারণে প্রাণহানি কমানোর উপর জোর দেওয়া।
- দুর্যোগের ফলে আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস: দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা কমানো।
- দুর্যোগের আর্থিক ক্ষয়-ক্ষতি হ্রাস: দুর্যোগের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক ক্ষতি লাঘব করা।
- গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ও জরুরি সেবাখাতের ক্ষয়-ক্ষতি হ্রাস: দুর্যোগের ফলে হাসপাতাল, স্কুল, বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার মতো অত্যাবশ্যকীয় অবকাঠামো ও সেবার ক্ষয়ক্ষতি কমানো।
- জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে দুর্যোগের ঝুঁকিহ্রাস কৌশলের বিস্তৃতি: প্রতিটি দেশ ও স্থানীয় পর্যায়ে দুর্যোগ মোকাবিলার কার্যকর কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।
- উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে দুর্যোগের ঝুঁকিহ্রাস বিষয়ে সহযোগিতা বৃদ্ধি: উন্নত দেশগুলোর অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে উন্নয়নশীল দেশগুলোর দুর্যোগ মোকাবিলা সক্ষমতা বাড়ানো।
- দুর্যোগের পূর্বাভাস প্রযুক্তি ও পদ্ধতির উন্নয়ন, সম্প্রসারণ ও সহজলভ্যতা বৃদ্ধি: উন্নত পূর্বাভাস ব্যবস্থা ও প্রযুক্তির ব্যবহার এবং তা সকলের জন্য সহজলভ্য করা।
এই লক্ষ্যগুলো পূরণের মাধ্যমে একটি স্থিতিশীল এবং দুর্যোগ-সহনশীল বিশ্ব গড়ে তোলার প্রয়াস নেওয়া হচ্ছে।
0
Updated: 1 month ago
প্রশিক্ষণ ও গণসচেতনতা বৃদ্ধি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার কোনটির অন্তর্গত?
Created: 1 month ago
A
প্রতিরোধ
B
দুর্যোগ প্রস্তুতি
C
উন্নয়ন
D
সাড়াদান
প্রতিরোধ (Prevention)
-
প্রাকৃতিক দুর্যোগকে সম্পূর্ণরূপে প্রতিরোধ করা সম্ভব না হলেও এর ক্ষয়ক্ষতি কমানোর ব্যাপারে প্রতিরোধ কার্যক্রম সফলতা বয়ে আনতে পারে।
-
দুর্যোগ প্রতিরোধের কাঠামোগত এবং অকাঠামোগত প্রশমনের ব্যবস্থা রয়েছে।
কাঠামোগত প্রশমন:
-
বিভিন্ন নির্মাণ কার্যক্রম যথা বেড়িবাঁধ তৈরি, আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ, পাকা ও মজবুত ঘরবাড়ি তৈরি, নদী খনন ইত্যাদি বাস্তবায়ন।
-
কাঠামোগত দুর্যোগ প্রশমন খুবই ব্যয়বহুল, যা অনেক দরিদ্র দেশের পক্ষে বহন করা কষ্টসাধ্য।
অকাঠামোগত প্রতিরোধ:
-
প্রশিক্ষণ, গণসচেতনতা বৃদ্ধি, পূর্বপ্রস্তুতি ইত্যাদি কার্যক্রম।
-
স্বল্প ব্যয়ে বাস্তবায়নযোগ্য।
0
Updated: 1 month ago
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মুখ্য উপাদান নয় কোনটি?
Created: 1 month ago
A
প্রতিরোধ
B
পূর্বপ্রস্তুতি
C
পুনরুদ্ধার
D
কাঠামোগত প্রশমন
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা হলো এমন একটি প্রক্রিয়া, যা যথাযথ পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে দুর্যোগ প্রতিরোধ, প্রস্তুতি, সাড়াদান এবং পুনরুদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করে। এর মূল লক্ষ্য হলো দুর্যোগের ক্ষতি কমানো এবং প্রভাবিত অঞ্চলের মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
-
দুর্যোগ প্রতিরোধ:
-
দুর্যোগের সম্ভাবনা বা ঝুঁকি কমাতে নেওয়া ব্যবস্থাগুলো অন্তর্ভুক্ত।
-
এর মধ্যে রয়েছে পূর্বাভাস ব্যবস্থা, সতর্কতা কার্যক্রম এবং প্রতিরোধী কাঠামো নির্মাণ।
-
-
দুর্যোগ প্রশমন:
-
দুর্যোগের সম্ভাব্য ক্ষতিকর প্রভাব কমানো।
-
সরাসরি তীব্রতা কমানোর পদক্ষেপ যেমন বাঁধ নির্মাণ, নিরাপত্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং পরিবেশগত বিপর্যয় রোধ।
-
-
দুর্যোগের পূর্বপ্রস্তুতি:
-
দুর্যোগের প্রাক্কালে সঠিক প্রস্তুতি গ্রহণ।
-
এতে অন্তর্ভুক্ত: জনগণকে সচেতন করা, দুর্যোগের সময় দ্রুত সাহায্য পৌঁছানোর প্রস্তুতি, উপকরণ সংরক্ষণ।
-
অন্যদিকে, দুর্যোগ সংঘটনের পর ব্যবস্থাপনার অন্যান্য উপাদান হলো:
-
সাড়াদান,
-
পুনরুদ্ধার,
-
উন্নয়ন,
যা মুখ্য উপাদান নয় তবে জরুরি কার্যক্রম হিসেবে বিবেচিত।
তথ্যসূত্র:
0
Updated: 1 month ago