'গাহি’ সাম্যের গান
মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান' - পঙ্ক্তিটি কোন কবিতার অংশ?
A
মানুষ
B
সাম্যবাদী
C
সর্বহারা
D
প্রলয়োল্লাস
উত্তরের বিবরণ
কাজী নজরুল ইসলামের ‘মানুষ’ কবিতা
আলোচ্য পঙক্তিটি কাজী নজরুল ইসলামের ‘মানুষ’ কবিতা থেকে গৃহীত।
‘মানুষ’ কবিতাটি তাঁর ‘সাম্যবাদী’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।
‘সাম্যবাদী’ কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ১৯২৫ সালে।
উদ্ধৃত পঙক্তি:
গাহি সাম্যের গান–
মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান!
নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্ম জাতি,
সব দেশে, সব কালে, ঘরে ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি।
কাজী নজরুল ইসলামের উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ
অগ্নি-বীণা
সঞ্চিতা
চিত্তনামা
মরুভাস্কর
সর্বহারা
ফণি-মনসা
চক্রবাক
সাম্যবাদী
ছায়ানট
নতুন চাঁদ
পুবের হাওয়া
জিঞ্জির
বাষের বাঁশি
দোলনচাঁপা
সিন্ধু হিন্দোল
ভাঙার গান
সন্ধ্যা ইত্যাদি
0
Updated: 1 month ago
'মহাপতঙ্গ' আবু ইসহাক রচিত কোগল্পগ্রন্থন ধরনের সাহিত্য রচনা?
Created: 1 month ago
A
গল্পগ্রন্থ
B
প্রবন্ধগ্রন্থ
C
উপন্যাস
D
কাব্যগ্রন্থ
'মহাপতঙ্গ' গল্পগ্রন্থ আবু ইসহাক রচিত একটি গুরুত্বপূর্ণ ছোট গল্পসংকলন। এই গ্রন্থের "The Dragonfly" (মহাপতঙ্গ) গল্পের উপর ভিত্তি করে রচিত চিত্রনাট্য সুইজারল্যান্ডে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় পুরস্কার লাভ করেছে।
-
গল্পগ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত উল্লেখযোগ্য গল্পগুলো:
-
বিস্ফোরণ
-
খুতি
-
আবর্ত
-
বংশধর
-
কনট্রাস্ট
-
জোঁক
-
বর্ণচোর
-
প্রতিবিম্ব
-
সাবীল
-
উত্তরণ
-
মহাপতঙ্গ
-
আবু ইসহাক:
-
তিনি ছিলেন কথাসাহিত্যিক এবং অভিধান-প্রণেতা।
-
জন্ম: ১৯২৬ সালের ১ নভেম্বর, শরিয়তপুর জেলার শিরঙ্গল গ্রামে।
-
কাজী নজরুল ইসলাম সম্পাদিত 'নবযুগ' পত্রিকায় তার গল্প "অভিশাপ" প্রকাশিত হয়।
-
তিনি সমকালীন বাংলা ভাষার অভিধান (২ খন্ড, ১৯৯৩, ১৯৯৮) রচনা করে বাংলা কোষগ্রন্থের পরিধি বৃদ্ধি করেছেন।
-
সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি বিভিন্ন পদক লাভ করেছেন, যেমন:
-
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৬৩)
-
সুন্দরবন সাহিত্য পদক (১৯৮১)
-
বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ সাহিত্য পদক (১৯৯০)
-
একুশে পদক (১৯৯৭)
-
স্বাধীনতা পদক (মনণোত্তর, ২০০৪)
-
শিশু একাডেমি পদক (মরণোত্তর, ২০০৬)
-
রচিত উপন্যাস:
-
সূর্য-দীঘল বাড়ী
-
পদ্মার পলিদ্বীপ
-
জাল
রচিত গল্পগ্রন্থ:
-
হারেম
-
মহাপতঙ্গ
0
Updated: 1 month ago
'বাংলা গদ্যের জনক' বলা হয় কাকে?
Created: 1 month ago
A
রামমোহন রায়
B
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
C
উইলিয়াম কেরি
D
রামরাম বসু
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে 'বাংলা গদ্যের জনক' বলা হয়।
কারণ:
-
তৎকালীন গদ্যরচনাকারীদের মধ্যে গদ্যের কাঠামো ও বাক্যের ভারসাম্য গঠনে সর্বাধিক প্রভাব বিস্তার করেছিলেন।
-
সমকালীন গদ্যলেখক অক্ষয়কুমার দত্ত বাংলা গদ্যের জটিলতা দূর করে তা ব্যবহারোপযোগী করেছিলেন; বিদ্যাসাগর সেই গদ্যরীতিতে লালিত্য ও নমনীয়তা যোগ করে ভাষার মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য সঞ্চার করেন।
-
বাংলা ভাষার ধ্বনিপ্রবাহ অনুধাবন করে বাক্যে স্বাভাবিক শব্দানুবৃত্তি এবং পরিমিতিবোধ সৃষ্টি করেছেন।
-
বিদ্যাসাগরের পূর্ববর্তী গদ্যের তুলনায় তাঁর সুষম বাক্যগঠন এবং সচেষ্ট রচনা বৈশিষ্ট্য পরিস্কারভাবে লক্ষণীয়।
-
তাঁর সৃষ্ট গদ্যরীতি পরবর্তী পর্যায়ে বাংলা গদ্যের পরিণত রূপের ভিত্তি স্থাপন করেছে।
0
Updated: 1 month ago
‘গোরক্ষবিজয়’ কাহিনির রচয়িতা কে?
Created: 2 months ago
A
বিজয় গুপ্ত
B
মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
C
বড়ু চণ্ডীদাস
D
শেখ ফয়জুল্লাহ
নাথসাহিত্য
-
সংজ্ঞা: নাথধর্মের আচার-আচরণ ও নাথযোগীদের কাহিনি ভিত্তিক সাহিত্য
-
কাল: মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের বিশেষ ধারা
-
উল্লেখযোগ্য কাহিনি: শেখ ফয়জুল্লাহর গোরক্ষবিজয়
-
অন্যান্য কাহিনি ও গান:
-
রাজা মাণিকচন্দ্রের গান
-
ময়নামতীর গান
-
গোপীচন্দ্রের গান
-
-
বিষয়বস্তু: গার্হস্থ্য জীবনের প্রেক্ষাপটে যোগজীবনের নির্দেশিকা
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস (মাহবুবুল আলম), বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago