দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন বাংলাদেশে কত সালে পাস হয়?
A
২০০৭ সালে
B
২০১০ সালে
C
২০১২ সালে
D
২০১৫ সালে
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১২:
-
প্রণয়ন: ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১২; লক্ষ্য: দুর্যোগ মোকাবেলা কার্যক্রম সমন্বিত ও কার্যকর করা।
-
অধিদপ্তর: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা, সংসদে আইন পাসের মাধ্যমে।
-
উদ্দেশ্য: সকল ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলায় শক্তিশালী ও লক্ষ্যভিত্তিক ব্যবস্থাপনার কাঠামো তৈরি।
0
Updated: 1 month ago
'সেন্দাই ফ্রেমওয়ার্ক' কোন বিষয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট?
Created: 1 month ago
A
ক্ষতিকর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা
B
দুর্যোগের ঝুঁকিহ্রাস
C
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা
D
জলাভূমির যথাযথ ব্যবহার
সেন্দাই ফ্রেমওয়ার্ক: দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস এবং স্থিতিশীল ভবিষ্যতের নীলনকশা
২০১৫ সালের ১৪ থেকে ১৮ মার্চ জাপানের সেন্দাই শহরে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের তৃতীয় দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস বিষয়ক সম্মেলনে সেন্দাই ফ্রেমওয়ার্ক : ২০১৫-২০৩০ গৃহীত হয়। এই আন্তর্জাতিক চুক্তিটি ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস করার একটি সুস্পষ্ট রূপরেখা প্রদান করে।
এই ফ্রেমওয়ার্ক অর্জনের জন্য সাতটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে:
- বিশ্বব্যাপী দুর্যোগে মৃত্যুর সংখ্যা হ্রাস: দুর্যোগের কারণে প্রাণহানি কমানোর উপর জোর দেওয়া।
- দুর্যোগের ফলে আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস: দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা কমানো।
- দুর্যোগের আর্থিক ক্ষয়-ক্ষতি হ্রাস: দুর্যোগের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক ক্ষতি লাঘব করা।
- গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ও জরুরি সেবাখাতের ক্ষয়-ক্ষতি হ্রাস: দুর্যোগের ফলে হাসপাতাল, স্কুল, বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার মতো অত্যাবশ্যকীয় অবকাঠামো ও সেবার ক্ষয়ক্ষতি কমানো।
- জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে দুর্যোগের ঝুঁকিহ্রাস কৌশলের বিস্তৃতি: প্রতিটি দেশ ও স্থানীয় পর্যায়ে দুর্যোগ মোকাবিলার কার্যকর কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।
- উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে দুর্যোগের ঝুঁকিহ্রাস বিষয়ে সহযোগিতা বৃদ্ধি: উন্নত দেশগুলোর অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে উন্নয়নশীল দেশগুলোর দুর্যোগ মোকাবিলা সক্ষমতা বাড়ানো।
- দুর্যোগের পূর্বাভাস প্রযুক্তি ও পদ্ধতির উন্নয়ন, সম্প্রসারণ ও সহজলভ্যতা বৃদ্ধি: উন্নত পূর্বাভাস ব্যবস্থা ও প্রযুক্তির ব্যবহার এবং তা সকলের জন্য সহজলভ্য করা।
এই লক্ষ্যগুলো পূরণের মাধ্যমে একটি স্থিতিশীল এবং দুর্যোগ-সহনশীল বিশ্ব গড়ে তোলার প্রয়াস নেওয়া হচ্ছে।
0
Updated: 1 month ago
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা চক্রের কোন স্তরটি বেশি ব্যয়বহুল?
Created: 4 weeks ago
A
পূর্বপ্রস্তুতি
B
সাড়াদান
C
প্রশমন
D
পুনরুদ্ধার
দুর্যোগ প্রশমন বলতে বোঝায় দুর্যোগের long-term impact কমানো এবং এর জন্য প্রয়োজনীয় pre-disaster preparation বা পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ। যদিও প্রাকৃতিক দুর্যোগকে সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করা সম্ভব নয়, কিন্তু সঠিক management এর মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি অনেকটাই কমানো যায়।
-
Structural mitigation বা কাঠামোগত ব্যবস্থা যেমন বেরিবাঁধ নির্মাণ, আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি, নদী খনন ইত্যাদি দুর্যোগ মোকাবিলায় কার্যকর হলেও এগুলো খুব ব্যয়বহুল। দরিদ্র দেশগুলোর জন্য এই খরচ বহন করা অনেক সময় কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে।
-
Non-structural mitigation যেমন জনসচেতনতা বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ প্রদান, কমিউনিটি-ভিত্তিক প্রস্তুতি ইত্যাদি অল্প ব্যয়ে করা যায় এবং বাস্তবায়নও তুলনামূলক সহজ।
-
Mitigation হলো disaster management-এর মূল উপাদান, যা ক্ষয়ক্ষতি কমাতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
Disaster management-এর প্রধান উপাদানগুলো হলো:
-
Disaster prevention (দুর্যোগ প্রতিরোধ)
-
Disaster mitigation (দুর্যোগ প্রশমন)
-
Disaster preparedness (পূর্বপ্রস্তুতি)
অতএব, দুর্যোগকে কার্যকরভাবে মোকাবিলা করতে হলে এর pre-disaster stage-এই সবচেয়ে বেশি কাজ করতে হয়।
দুর্যোগ সংঘটিত হওয়ার পরপরই ব্যবস্থাপনার যে উপাদানগুলো কার্যকর হয়, সেগুলো হলো:
-
Response (সাড়াদান)
-
Recovery (পুনরুদ্ধার)
-
Development (উন্নয়ন)
আগে মনে করা হতো যে, শুধুমাত্র response বা সাড়াদানই disaster management। কিন্তু বর্তমানে স্পষ্টভাবে বোঝা যায় যে mitigation, preparedness এবং prevention সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
0
Updated: 4 weeks ago
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ২০১৫ কবে জারি হয়েছে?
Created: 2 months ago
A
১ জানুয়ারি
B
১১ জানুয়ারি
C
১৯ জানুয়ারি
D
২১ মার্চ
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ও আইন
বাংলাদেশে দুর্যোগ মোকাবেলার কার্যক্রমকে সমন্বিত, লক্ষ্যভিত্তিক ও কার্যকরভাবে পরিচালনা করার জন্য আইন এবং নীতিমালা প্রণীত হয়েছে। এর প্রধান কাঠামো হলো:
বাংলাদেশ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১২
-
আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্য: সকল ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলায় কার্যকর ব্যবস্থা তৈরি করা, জনগণের দুর্যোগ লাঘব করা, দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য জরুরি সহায়তা, পুনরুদ্ধার ও পুনর্বাসন কার্যক্রমকে দক্ষভাবে পরিচালনা করা।
-
এই আইন সংসদে ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১২ সালে পাস হয়।
-
২০১২ সালে একই সরকারের নেতৃত্বে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
আইনটি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ১৯ ধারা অনুযায়ী নীতিমালা প্রণয়নের ক্ষমতা প্রদান করে।
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা, ২০১৫
-
এই নীতিমালা দুর্যোগ মোকাবেলায় পূর্ব প্রস্তুতি, মানবিক সহায়তা, পুনর্বাসন ও পুনরুদ্ধার কার্যক্রমকে আরও কার্যকর করার লক্ষ্যে প্রণয়ন করা হয়।
-
জারি তারিখ: ১৯ জানুয়ারি ২০১৫
-
ধরন: প্রজ্ঞাপন
উৎস: জাতীয় তথ্য বাতায়ন
1
Updated: 2 months ago