বাংলাদেশের কোন নদী প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত?
A
কর্ণফুলী
B
হালদা
C
সাঙ্গু
D
মাতামুহুরী
উত্তরের বিবরণ
প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র:
-
বাংলাদেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র: হালদা নদী।
-
উৎপত্তি: খাগড়াছড়ির বাদনাতলী পর্বতশৃঙ্গ; কর্ণফুলীর উপনদী।
-
অবস্থান: চট্টগ্রাম জেলা; মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট ঘোষিত মৎস্য অভয়াশ্রম।
-
হালদা নদী বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণা।
-
বৈশিষ্ট্য: বিশ্বের একমাত্র জোয়ার-ভাটার নদী এবং এশিয়ার একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র; সরাসরি রুই মাছের নিষিক্ত ডিম সংগ্রহ হয়।
0
Updated: 1 month ago
'গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ' কোথায় অবস্থিত?
Created: 1 month ago
A
ব্রাজিল
B
অস্ট্রেলিয়া
C
ইন্দোনেশিয়া
D
ফিলিপাইন
গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ:
-
অবস্থান: অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড, কোরাল সাগর।
-
বিশ্বের বৃহত্তম প্রবাল প্রাচীর; আনুমানিক ৩,৪৪,৪০০ কিমি² বিস্তৃত।
-
গঠন: ২,৯০০+ পৃথক রিফ সিস্টেম, ৭৬০ ফ্রেঞ্জ রিফ, ৩০০ প্রবাল রশ্মি, ৯০০ দ্বীপ।
-
ব্যবহার: অস্ট্রেলিয়ান আদিবাসী ও টরেস স্ট্রেইট দ্বীপবাসীদের।
0
Updated: 1 month ago
কোন ভূগোলবিদ প্রথম 'Geography' শব্দ ব্যবহার করেন?
Created: 1 month ago
A
অ্যারিস্টটল
B
ইরাটোসথেনিস
C
অধ্যাপক ম্যাকনি
D
কার্ল রিটার
ভূগোল এমন একটি বিদ্যা যা পৃথিবী ও মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক, প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং সামাজিক পরিবেশের সমন্বিত বর্ণনা প্রদান করে। ভূগোল শব্দটি এসেছে ইংরেজি Geography শব্দ থেকে, যা পৃথিবী সম্পর্কিত জ্ঞানকে বোঝায়। ইতিহাসের বিভিন্ন ভূগোলবিদ ভিন্ন ভিন্নভাবে ভূগোলকে সংজ্ঞায়িত করেছেন।
-
প্রাচীন গ্রিসের ভূগোলবিদ ইরাটোসথেনিস সর্বপ্রথম "Geography" শব্দটি ব্যবহার করেন।
-
Geo শব্দের অর্থ "ভূ" বা পৃথিবী এবং graphy শব্দের অর্থ "বর্ণনা"। সুতরাং Geography শব্দের অর্থ দাঁড়ায় "পৃথিবীর বর্ণনা"।
-
বৃটিশ ভূগোলবিদ অধ্যাপক ম্যাকনি (Professor E. A. Macnee) ভূগোলকে মানুষের আবাসভূমি হিসেবে পৃথিবীর আলোচনা বা বর্ণনা হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন। তাঁর মতে, ভৌত ও সামাজিক পরিবেশে মানুষের কর্মকাণ্ড ও জীবনধারা নিয়ে যে বিষয় আলোচনা করে তাই ভূগোল।
-
বৃটিশ ভূগোলবিদ ডাডলি স্ট্যাম্প (Professor L. Dudley Stamp) বলেছেন, পৃথিবী ও এর অধিবাসীদের বর্ণনাই ভূগোল।
-
জার্মান ভূগোলবিদ কার্ল রিটার (Professor Carl Ritter) ভূগোলকে পৃথিবীর বিজ্ঞান হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
-
মার্কিন ভূগোলবিদ রিচার্ড হার্টশোর্ন (Professor Richard Hartshorne) বলেন, পৃথিবীপৃষ্ঠের পরিবর্তনশীল বৈশিষ্ট্যের যুক্তিসংগত ও সুবিন্যস্ত বিবরণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়ই হলো ভূগোল।
অতিরিক্ত তথ্য হিসেবে উল্লেখ করা যায় যে, ভূগোল মূলত দুই ভাগে বিভক্ত— ভৌত ভূগোল এবং মানব ভূগোল। ভৌত ভূগোল পৃথিবীর প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য যেমন পাহাড়, নদী, জলবায়ু, মৃত্তিকা, সাগর ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করে। অন্যদিকে মানব ভূগোল মানুষের সমাজ, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, বসতি, রাজনৈতিক ব্যবস্থা এবং পরিবেশের সঙ্গে মানুষের সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করে। আধুনিক কালে ভূগোলের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা হলো ভূ-তথ্য ব্যবস্থা (GIS) এবং রিমোট সেন্সিং, যা পৃথিবীর মানচিত্র অঙ্কন, সম্পদ ব্যবস্থাপনা, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং উন্নয়ন পরিকল্পনায় বিশেষ ভূমিকা রাখে।
0
Updated: 1 month ago
আনুমানিক কত বছর পূর্বের সময়কে প্লাইস্টোসিনকাল বলা হয়?
Created: 2 months ago
A
৫,০০০ বছর
B
১০,০০০ বছর
C
২৫,০০০ বছর
D
৫০,০০০ বছর
প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহ:
-
আজ থেকে প্রায় ২৫,০০০ বছর পূর্বের সময়কে প্লাইস্টোসিনকাল বলা হয়।
-
এ অঞ্চলের মাটির রঙ লাল ও ধূসর।
-
দেশের উত্তর-পশ্চিমাংশের বরেন্দ্রভূমি, মধ্যভাগের মধুপুর ও ভাওয়ালের গড়, এবং কুমিল্লা জেলার লালমাই পাহাড় বা উচ্চভূমি এর অন্তর্ভুক্ত।
-
ধারণা করা হয় যে, প্লাইস্টোসিনকালে এসব উচ্চভূমি গঠিত হয়েছিল।
ক) বরেন্দ্রভূমি:
-
বরেন্দ্রভূমি রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ, রাজশাহী, বগুড়া, জয়পুরহাট এবং রংপুর বিভাগের গাইবান্ধা, রংপুর ও দিনাজপুর জেলার অংশবিশেষ নিয়ে গঠিত।
-
এর আয়তন ৯,৩২০ বর্গকিলোমিটার।
-
প্লাবন সমভূমি থেকে এর উচ্চতা ৬ থেকে ১২ মিটার।
-
এটি প্লাইস্টোসিন যুগের সর্ববৃহৎ উঁচুভূমি।
-
বর্তমানে বরেন্দ্র বহুমুখী সেচ প্রকল্প এবং আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার করে এ অঞ্চলকে কৃষিকাজের জন্য বিশেষ উপযোগী করা হয়েছে।
খ) মধুপুর ও ভাওয়ালের গড়:
-
টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ জেলার মধুপুর এবং গাজীপুর জেলার ভাওয়ালের গড় নিয়ে এলাকাটি গঠিত।
-
এটি প্লাইস্টোসিন যুগের দ্বিতীয় বৃহত্তম উঁচুভূমি।
-
সমভূমি থেকে এর গড় উচ্চতা প্রায় ৩০ মিটার এবং আয়তন ৪,১০৩ বর্গকিলোমিটার।
-
এখানকার মৃত্তিকা কৃষিকাজের জন্য তেমন উপযোগী নয়, তবে এটি দেশের গজারী বৃক্ষের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।
গ) লালমাই পাহাড়:
-
কুমিল্লা শহর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে লালমাই থেকে ময়নামতি পর্যন্ত বিস্তৃত।
-
এর আয়তন প্রায় ৩৪ বর্গকিলোমিটার এবং গড় উচ্চতা ২১ মিটার।
-
পাহাড়ের মাটি লাল এবং নুড়ি, বালি ইত্যাদি দ্বারা গঠিত।
তথ্যসূত্র: ভূগোল ও পরিবেশ, এসএসসি প্রোগ্রাম, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 2 months ago