A
সময় প্রবাহ
B
অক্ষাংশ
C
উচ্চতা
D
সমুদ্রস্রোত
উত্তরের বিবরণ
জলবায়ু ও নিয়ামক:
-
জলবায়ু: কোনো অঞ্চলের ৩০–৪০ বছরের গড় আবহাওয়ার অবস্থার ধরন।
-
নিয়ামক: ভৌগোলিক কারণে স্থানভেদে জলবায়ুর পার্থক্য নির্ধারণকারী উপাদান।
-
সময় প্রবাহ জলবায়ুর নিয়ামক নয়।
-
পর্যবেক্ষণ: আবহাওয়া অফিস দীর্ঘকালীন তথ্য পর্যবেক্ষণ করে জলবায়ু নির্ধারণ করে।
প্রধান নিয়ামক:
১. অক্ষাংশ
২. বায়ুপ্রবাহ
৩. সমুদ্রস্রোত
৪. পর্বতের অবস্থান
৫. উচ্চতা
৬. সমুদ্র থেকে দূরত্ব
৭. ভূমির ঢাল
৮. মৃত্তিকার গঠন
৯. বনভূমির অবস্থান

0
Updated: 22 hours ago
শীতকালে জলভাগের চেয়ে স্থলভাগ বেশি-
Created: 2 weeks ago
A
শীতল থাকে
B
গরম থাকে
C
সমান তাপমাত্রা থাকে
D
কোনটিই নয়
স্থলভাগ ও জলভাগের অবস্থান ও প্রভাব
প্রধান বৈশিষ্ট্য
-
স্থলভাগ দ্রুত উত্তপ্ত ও শীতল হয়; জলভাগ তুলনায় ধীরে উত্তপ্ত ও শীতল।
-
শীতকালে → স্থলভাগ বেশি শীতল; গ্রীষ্মে → স্থলভাগ বেশি গরম।
-
সূর্যরশ্মি স্থলভাগে বেশি প্রতিফলিত হয়।
-
জলভাগে আবহাওয়া মৃদুভাবাপন্ন, স্থলভাগে চরম তাপমাত্রা দেখা দেয়।
প্রভাব
-
স্থল ও জলভাগের অবস্থান আবহাওয়া ও জলবায়ুর পার্থক্য তৈরি করে।
-
পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠের ৭১% জলভাগ এবং ২৯% স্থলভাগ এই পার্থক্য সৃষ্টি করে।
-
সমুদ্রের পানির স্রোত ও জোয়ার ভাটা দ্বারা বায়ু উত্তপ্ত হয় এবং পুনঃবণ্টন ঘটে।
-
মূল কারণ: স্থলভাগের আপেক্ষিক তাপ (specific heat) কম, জলভাগের বেশি।

0
Updated: 2 weeks ago
আফ্রিকার কঙ্গো নদী অববাহিকায় কোন ধরনের জলবায়ু দেখা যায়?
Created: 22 hours ago
A
নিরক্ষীয় জলবায়ু
B
মৌসুমী জলবায়ু
C
পর্বতীয় জলবায়ু
D
তুন্দ্রা ধরনের জলবায়ু
নিরক্ষীয় জলবায়ু (Equatorial Climate):
-
অবস্থান: নিরক্ষরেখা ও তার কাছাকাছি (প্রায় ৫°–১০° অক্ষাংশ)।
-
বৈশিষ্ট্য: সূর্যের উত্তরায়ন ও দক্ষিণায়নের কারণে বছরে দুইবার তাপমাত্রা অত্যধিক।
-
আফ্রিকা: কঙ্গো নদী অববাহিকা, গিনি উপকূল।
-
মধ্য আমেরিকা: কোস্টারিকা, পানামা, হন্ডুরাস, নিকারাগুয়া।
-
দক্ষিণ আমেরিকা: পূর্ব উপকূল, আমাজন নদীর অববাহিকা, পেরু, ইকুয়েডর, কলম্বিয়ার দক্ষিণাংশ।
-
এছাড়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া: মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, ব্রুনাই, ফিলিপাইন।

0
Updated: 22 hours ago
নিম্নের কোন আপদটি (Hazard) পৃথিবীতে মানুষের মৃত্যুর প্রধান কারণ?
Created: 1 week ago
A
সড়ক দুর্ঘটনা
B
তামাক ও মাদকদ্রব্য গ্রহণ
C
বায়ু দূষণ
D
ক্যান্সার
বায়ু দূষণ ও আপদ (Hazard)
বায়ু দূষণ পৃথিবীতে মানুষের মৃত্যুর একটি প্রধান কারণ।
-
বায়ু দূষণের কারণে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বা গ্লোবাল ওয়ার্মিং সৃষ্টি হচ্ছে।
-
দূষণকারী প্রধান উপাদান হলো – কার্বন ডাই-অক্সাইড, কার্বন মনো-অক্সাইড, ওজোন, নাইট্রোজেনের অক্সাইডসমূহ ও এরোসল।
-
দূষণের মূল উৎস: জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানো, যানবাহন ও কারখানার ধোঁয়া, তেজস্ক্রিয় পদার্থ, ইটভাটা, এমনকি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত।
-
শহরাঞ্চলে বায়ুদূষণের মাত্রা সবচেয়ে বেশি।
-
এ দূষণ সরাসরি মানুষের স্বাস্থ্যকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
-
দূষিত বাতাস শ্বাসের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করলে শ্বাসকষ্ট, কাশি, বুক জ্বালা এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
-
সালফারের অক্সাইড ফুসফুসের নানা রোগ সৃষ্টি করে।
-
নাইট্রোজেন অক্সাইড ফুসফুস ফুলে যাওয়া, ফুসফুসে পানি জমা এবং গুরুতর অসুস্থতার কারণ হতে পারে।
-
দীর্ঘ সময় দূষিত বায়ুতে থাকার ফলে হাঁপানি, শ্বাসনালীর প্রদাহ ও কণ্ঠস্বর ভাঙার মতো রোগ দেখা দেয়।
-
শুধু শ্বাসতন্ত্র নয়, প্রায় প্রতিটি অঙ্গতন্ত্রে জটিলতা তৈরি হয়।
-
ক্যান্সার, নিউমোনিয়া, জন্ডিসসহ নানা রোগের কারণে বিশ্বে মৃত্যুর হার বাড়ছে।
আপদ (Hazard)
-
আপদ হলো এমন একটি অস্বাভাবিক ঘটনা, যা প্রাকৃতিক, মানবসৃষ্ট বা কারিগরি কারণে ঘটে এবং মানুষের জীবন ও জীবিকাকে বিপদে ফেলে।
-
আপদের ফলে বিপর্যয় সৃষ্টি হয়ে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়।
-
যেমন: ভূমিকম্প, বন্যা ইত্যাদির সরাসরি প্রভাব পড়ে অবকাঠামোর ওপর, যার পুনর্নির্মাণ অনেক ব্যয়বহুল।
-
অর্থাৎ, সব ধরনের চরম ঘটনাই আপদ হিসেবে গণ্য হয়।
আপদের ধরন:
-
প্রাকৃতিক আপদ – ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বজ্রঝড়, টর্নেডো, বন্যা, ভূমিকম্প, সুনামি, খরা, নদী ভাঙন ইত্যাদি।
-
মানবসৃষ্ট আপদ – ভবনধ্বস, সড়ক ও নৌ দুর্ঘটনা, অগ্নিকাণ্ড ইত্যাদি।
-
কারিগরি আপদ – বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের অগ্নিকাণ্ড, কলকারখানার দুর্ঘটনা, পারমাণবিক দুর্ঘটনা ইত্যাদি।
উৎসঃ ভূগোল প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 week ago