A
১৯৯১ সাল
B
১৯৯২ সাল
C
১৯৯৩ সাল
D
১৯৯৪ সাল
উত্তরের বিবরণ
আন্তর্জাতিক আদিবাসী বর্ষ ও দিবস: জাতিসংঘ ১৯৯৩ সালকে আন্তর্জাতিক আদিবাসী বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করেছিল।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,
-
১৯৮২ সালের ৯ আগস্ট জাতিসংঘের আদিবাসী জনগোষ্ঠী বিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়।
-
এই ঘটনাকে স্মরণীয় করে রাখতে জাতিসংঘ ১৯৯৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর সিদ্ধান্ত নেয় যে, প্রতি বছর ৯ আগস্ট আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস হিসেবে পালন করা হবে।
-
২০১৯ সালে জাতিসংঘ ঘোষণা করে যে, ২০২২ থেকে ২০৩২ সাল পর্যন্ত সময়কালকে আন্তর্জাতিক আদিবাসী ভাষা দশক হিসেবে উদযাপন করা হবে।
-
২০০৭ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ১৪৪টি রাষ্ট্রের সমর্থনে, ৪টি রাষ্ট্রের বিরোধিতা এবং ১১টি রাষ্ট্রের অনুপস্থিতিতে The Declaration on the Rights of Indigenous Peoples (UNDRIP) অনুমোদন করা হয়, যা আদিবাসীদের অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গৃহীত হয়।
⇒ প্রতি বছর ৯ আগস্ট আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস হিসেবে পালিত হয়।
উৎস: জাতিসংঘের ওয়েবসাইট।

0
Updated: 2 months ago
BIMSTEC কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?
Created: 2 months ago
A
১৯৮৮ সালে
B
১৯৮৯ সালে
C
১৯৯৩ সালে
D
১৯৯৭ সালে
BIMSTEC (Bay of Bengal Initiative for Multi-Sectoral Technical and Economic Cooperation) হলো একটি আঞ্চলিক অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহযোগিতা ভিত্তিক সংস্থা, যা বঙ্গোপসাগর অঞ্চলভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বহুমুখী সহযোগিতার মাধ্যমে উন্নয়ন সাধনের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত।
মূল তথ্যসমূহ
-
পূর্ণরূপ: Bay of Bengal Initiative for Multi-Sectoral Technical and Economic Cooperation
-
প্রতিষ্ঠা তারিখ: ৬ জুন, ১৯৯৭
-
প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য (৪টি দেশ):
-
বাংলাদেশ
-
ভারত
-
শ্রীলঙ্কা
-
থাইল্যান্ড
-
-
বর্তমান সদস্য সংখ্যা: ৭টি [এপ্রিল, ২০২৫]
-
বাংলাদেশ
-
ভারত
-
শ্রীলঙ্কা
-
থাইল্যান্ড
-
ভুটান
-
মায়ানমার
-
নেপাল
-
-
সদর দপ্তর: ঢাকা, বাংলাদেশ
-
বর্তমান সভাপতিদেশ: বাংলাদেশ [এপ্রিল, ২০২৫]
-
সহযোগিতার ক্ষেত্র: মোট ১৪টি খাতে বহুমুখী সহযোগিতা
উৎস
-
BIMSTEC অফিসিয়াল ওয়েবসাইট
-
ডেইলি স্টার পত্রিকা

0
Updated: 2 months ago
ইন্দোনেশিয়ার পর্যটনকেন্দ্র বালি দ্বীপে কোন তারিখে শক্তিশালী বোমা হামলায় ব্যাপক প্রাণহানিসহ একটি নাইট ক্লাব ধ্বংস হয়ে গেছে?
Created: 1 week ago
A
১০ অক্টোবর, ২০০২
B
১২ অক্টোবর, ২০০২
C
১০ নভেম্বর, ২০০২
D
১২ নভেম্বর, ২০০২
ইন্দোনেশিয়ার পর্যটনকেন্দ্র বালি দ্বীপে ১২ অক্টোবর, ২০০২ তারিখে শক্তিশালী বোমা হামলায় ব্যাপক প্রাণহানিসহ একটি নাইট ক্লাব ধ্বংস হয়ে গেছে।
২০০২ বালি বোমা হামলা:
- জনপ্রিয় পর্যটন দ্বীপ ইন্দোনেশিয়ার বালি।
- বালির বার ও নাইটক্লাবে ২০০২ সালের ১২ই অক্টোবর চালানো হয় দুটি বোমা হামলা।
- বোমা হামলার পেছনে ছিল ইন্দোনেশিয়ার আল-কায়েদা অনুপ্রাণিত সংগঠন জেমা ইসলামিয়া।
- হামলায় ২১টি দেশের নাগরিকেরা নিহত হন।
- ইন্দোনেশিয়ার ইতিহাসে এটিই ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা।
উল্লেখ্য,
- বালি বোমা হামলার সময় জেমা ইসলামিয়া (জেআই) নামের জঙ্গী সংগঠনের কম্যাণ্ডার ছিলেন আবু বাকার বা'আসির।
- বালি বোমা হামলার ষড়যন্ত্রের জন্যও মি. বা'আসিরের কারাদণ্ড হয়েছিল।
ইন্দোনেশিয়া:
- এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের মাঝখানে অবস্থিত দ্বীপ রাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়া।
- বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম জনসংখ্যার দেশ ইন্দোনেশিয়া।
- ডাচ উপনিবেশ থাকা দেশটি আন্দোলনের মাধ্যমে ১৯৪৯ সালে স্বাধীন হয়।
- রাষ্ট্রীয় নাম: রিপাবলিক অব ইন্দোনেশিয়া।
- রাজধানী: জাকার্তা।
- মুদ্রা: ইন্দোনেশীয় রুপিয়া।
- প্রধান ভাষা: বাহাসা ইন্দোনেশিয়া।
- সরকার ব্যবস্থা রাষ্ট্রপতি শাসিত।
উৎস: i) Britannica.
ii) ৮ জানুয়ারি ২০২১, বিবিসি।

0
Updated: 1 week ago
কত সালে আফগানিস্তান থেকে সোভিয়েত সৈন্য প্রত্যাহার করা হয়?
Created: 1 week ago
A
১৯৮৮ সালে
B
১৯৮৯ সালে
C
১৯৯০ সালে
D
১৯৯১ সালে
আফগানিস্তান থেকে সোভিয়েত বাহিনীর প্রত্যাহার (১৯৮৯)
দক্ষিণ এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র আফগানিস্তান, যার সরকারি নাম ইসলামিক আমিরাত অব আফগানিস্তান। “আফগানিস্তান” শব্দের অর্থ হচ্ছে “আফগান বা পশতুনদের দেশ”। দেশটির প্রধান ভাষা হলো পশতু ও দারি, এবং মুদ্রা হিসেবে ব্যবহৃত হয় আফগানি।
সোভিয়েত বাহিনীর হস্তক্ষেপ:
১৯৭৯ সালের শেষ দিকে, আফগানিস্তানের কমিউনিস্ট সরকারকে টিকিয়ে রাখতে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন সেনাবাহিনী পাঠায়। যদিও মস্কোর ভাষ্য ছিল যে এই সৈন্যরা মাত্র ছয় মাস অবস্থান করবে, বাস্তবে তারা থেকে যায় পুরো এক দশক।
এই দীর্ঘ যুদ্ধ আফগানিস্তানকে সোভিয়েত ইউনিয়নের জন্য এক প্রকার ‘ভিয়েতনাম’ সংকটের মতো পরিস্থিতিতে ফেলে।
যুদ্ধের প্রভাব ও ফলাফল:
এই যুদ্ধক্ষেত্রে তালেবান ও আল-কায়েদার মতো কট্টর ইসলামপন্থী গোষ্ঠীর উত্থান ঘটে। আফগানিস্তান হয়ে ওঠে স্নায়ুযুদ্ধের এক জীবন্ত মঞ্চ, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের দ্বন্দ্ব একটি সরাসরি সংঘর্ষে রূপ নেয়।
দীর্ঘ সংঘাত শেষে ১৯৮৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে সোভিয়েত বাহিনী আফগানিস্তান থেকে সম্পূর্ণরূপে সরে যায়। দশ বছরের এ যুদ্ধে আনুমানিক ১৫ হাজার সোভিয়েত সৈন্য এবং প্রায় ১০ লাখ আফগান প্রাণ হারান।
এই ঘটনা ছিল ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ মোড়, কারণ মাত্র দুই বছর পর, ১৯৯১ সালে, সোভিয়েত ইউনিয়ন নিজেই ভেঙে যায়।
তথ্যসূত্র:
-
National Geographic Kids
-
BBC বাংলা, ২৮ জানুয়ারি ২০১৯

0
Updated: 1 week ago