বাংলাদেশে প্রতি সেকেন্ডে কতবার পর্যায়বৃত্ত প্রবাহের দিক পরিবর্তন হয়?
A
৪০ বার
B
১০০ বার
C
৬০ বার
D
৫০ বার
উত্তরের বিবরণ
তড়িৎ প্রবাহ:
- দুটি ভিন্ন বিভবের ধাতব বস্তুকে যখন পরিবাহী তার দ্বারা যুক্ত করা হয় তখন তারের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়।
- যখন দুটি ভিন্ন বিভবের ধাতব বস্তুকে তার দ্বারা সংযুক্ত করা হয়, তখন নিম্ন বিভবসম্পন্ন ধাতব বস্তু থেকে ঋণাত্মক আধানযুক্ত ইলেকট্রন উচ্চ বিভবসম্পন্ন ধাতব বস্তুর দিকে প্রবাহিত হয়। যতক্ষণ পর্যন্ত ধাতব বস্তুর মধ্যে বিভব পার্থক্য বর্তমান থাকে ততক্ষণ পর্যন্ত ঋণাত্মক আধানের এই প্রবাহ চলে।
- কোনোভাবে যদি ধাতব বস্তুদ্বয়ের মধ্যবর্তী বিভব পার্থক্য বজায় রাখা যায় তখন এই প্রবাহ নিরবচ্ছিন্নভাবে চলতে থাকে।
- ঋণাত্মক আধান বা ইলেকট্রনের এই প্রবাহের জন্যই তড়িৎ প্রবাহিত হয়।
- মূলত কোনো পরিবাহীর যেকোনো প্রস্থচ্ছেদের মধ্য দিয়ে একক সময়ে যে পরিমাণ আধান প্রবাহিত হয় তাই হলো তড়িৎ প্রবাহ।
- প্রচলিত তড়িৎ প্রবাহের দিক ইলেকট্রন প্রবাহের বিপরীত দিকে হয়।
- তড়িৎ প্রবাহের একক হলো অ্যাম্পিয়ার। একে সাধারণত A দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
- তড়িৎ প্রবাহ দুই প্রকার।
যথা-
(ক) পর্যায়বৃত্ত প্রবাহ বা পরিবর্তী প্রবাহ বা এসি প্রবাহ:
- যখন নির্দিষ্ট সময় পরপর তড়িৎ প্রবাহের দিক পরিবর্তিত হয়, সেই তড়িৎ প্রবাহকে পর্যায়বৃত্ত প্রবাহ বলে।
- বর্তমান বিশ্বের সকল দেশের তড়িৎ প্রবাহই পর্যায়বৃত্ত প্রবাহ।
- এর কারণ তুলনামূলকভাবে এটি উৎপন্ন ও সরবরাহ করা সহজ এবং সাশ্রয়ী।
- পর্যায়বৃত্ত প্রবাহের উৎস জেনারেটর বা ডায়নামো।
- দেশের বিভিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে জেনারেটরের সাহায্যে পর্যায়বৃত্ত প্রবাহ উৎপন্ন করা হয়।
- পর্যায়বৃত্ত প্রবাহের দিক পরিবর্তন দেশভেদে বিভিন্ন হয়।
যেমন- বাংলাদেশে পর্যায়বৃত্ত প্রবাহ প্রতি সেকেন্ডে পঞ্চাশবার এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি সেকেন্ডে ষাটবার দিক পরিবর্তন করে।
(খ) অপর্যায়বৃত্ত প্রবাহ বা সমপ্রবাহ বা একমুখী প্রবাহ বা ডিসি প্রবাহ:
- যখন সময়ের সাথে সাধারণত তড়িৎ প্রবাহের দিকের কোনো পরিবর্তন না ঘটে, অর্থাৎ যে তড়িৎ প্রবাহ সবসময় একই দিকে প্রবাহিত হয়, সেই প্রবাহকে অপর্যায়বৃত্ত প্রবাহ বলে।
- তড়িৎ কোষ বা ব্যাটারি থেকে অপর্যায়বৃত্ত প্রবাহ পাওয়া যায়।
- আবার ডিসি জেনারেটরের সাহায্যেও এই প্রকার তড়িৎ প্রবাহ উৎপন্ন করা যায়।
0
Updated: 1 month ago
এক্স-রে রশ্মি জীবন্ত কোষের উপর কী প্রভাব ফেলে?
Created: 1 month ago
A
উত্তেজিত করে
B
বিকশিত করে
C
রক্ষা করে
D
ধ্বংস করে
শব্দের সঞ্চালন
-
শব্দ সৃষ্টির উৎস হলো কম্পনশীল বস্তু।
-
কোনো মাধ্যমের কণাগুলোর কম্পনের ফলে যে আন্দোলন তৈরি হয় এবং যা মাধ্যমের মধ্য দিয়ে চলাচল করে, তাকে ঢেউ বলা হয়।
-
উদাহরণ: একটি লম্বা স্প্রিং-এর এক প্রান্তে আঘাত করলে স্প্রিংটি সংকুচিত ও প্রসারিত হয়ে আন্দোলন সঞ্চালন করে; শব্দের ঢেউও এভাবেই সঞ্চালিত হয়।
-
-
শব্দের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াতকে শব্দ সঞ্চালন বলা হয়।
-
শব্দ সঞ্চালনের জন্য মাধ্যমের প্রয়োজন, যা হতে পারে কঠিন, তরল বা বায়বীয়।
-
কঠিন মাধ্যমে শব্দের গতি সর্বোচ্চ এবং সঠিকভাবে সঞ্চালিত হয়।
-
তরল মাধ্যমে শব্দ বায়ুর চেয়ে দ্রুত এবং ভালোভাবে সঞ্চালিত হয়।
-
বায়ু মাধ্যমে শব্দ তুলনামূলকভাবে ধীরগতিতে সঞ্চালিত হয়।
-
-
মাধ্যম ছাড়া শব্দ সঞ্চালিত হয় না, অর্থাৎ শূন্য মাধ্যমে শব্দ সঞ্চালিত হয় না।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
HPLC এর পূর্ণরূপ কী?
Created: 3 weeks ago
A
High pressure liquid chromatography
B
High power liquid chromatography
C
High plant liquid chromatography
D
High performance liquid chromatography
High Performance Liquid Chromatography বা HPLC হলো এক ধরনের advanced analytical technique যা মূলত chemistry এবং biochemistry তে ব্যবহার করা হয়।
এর মাধ্যমে complex mixture এর ভেতরে থাকা বিভিন্ন compounds আলাদা করা, চিহ্নিত করা এবং তাদের পরিমাণ নির্ধারণ করা সম্ভব। নিচে HPLC সম্পর্কিত মূল বিষয়গুলো দেওয়া হলো:
-
HPLC হলো একটি analytical chemistry technique, যা mixture এর বিভিন্ন components separation, identification এবং quantification করতে ব্যবহৃত হয়।
-
প্রথম দিকে, অর্থাৎ 20th century এর শুরুতে, এটি আবিষ্কৃত হয় এবং মূলত colored compounds separation এর জন্য ব্যবহার করা হতো।
-
বর্তমানে এটি শুধু রঙিন যৌগ নয়, বরং pharmaceuticals, food analysis, environmental studies, এবং biological samples-এও ব্যবহৃত হয়।
-
HPLC এর মূল সুবিধা হলো এটি খুব sensitive এবং দ্রুত কাজ করতে পারে, তাই খুব minute quantity থেকেও নির্ভুল ফলাফল পাওয়া যায়।
HPLC এর প্রধান দুইটি ধরন হলো:
-
Normal-Phase HPLC – এখানে stationary phase থাকে polar এবং mobile phase হয় non-polar।
-
Reversed-Phase HPLC – এটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়, যেখানে stationary phase non-polar এবং mobile phase হয় polar।
0
Updated: 3 weeks ago
কোনো দ্রবণে pH মান ৭ এর চেয়ে কম হলে সেই দ্রবণ কোন প্রকৃতির হবে?
Created: 1 month ago
A
ক্ষারীয়
B
নিরপেক্ষ
C
অ্যাসিডিক
D
আয়নিক
pH স্কেল হলো এমন একটি মানদণ্ড, যার মাধ্যমে কোনো দ্রবণ অম্লীয়, ক্ষারীয় নাকি নিরপেক্ষ তা নির্ধারণ করা হয়। এটি রসায়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি দ্রবণের হাইড্রোজেন আয়নের ঘনমাত্রা পরিমাপের একটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি প্রদান করে।
-
pH স্কেল প্রবর্তন করেন বিজ্ঞানী সোরেনসেন ১৯১৯ সালে।
-
এটি দ্বারা জানা যায় কোনো দ্রবণ কতটা অম্লীয় বা ক্ষারীয়।
-
pH হলো হাইড্রোজেন আয়ন (H⁺) এর ঘনমাত্রার ঋণাত্মক লগারিদম। অর্থাৎ, pH = – log[H⁺]।
-
দ্রবণের pH মান ০ থেকে ১৪ এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে।
-
pH = ৭ হলে দ্রবণটি নিরপেক্ষ।
-
pH < ৭ হলে দ্রবণটি অম্লীয়।
-
pH > ৭ হলে দ্রবণটি ক্ষারীয়।
-
pH নির্ধারণের জন্য pH মিটার ব্যবহার করা হয়, যেখানে pH স্কেল থাকে।
0
Updated: 1 month ago