বিক্ষেপণের ফলে নিচের কোনটি ব্যাখ্যা করা যায়?
A
রংধনু সৃষ্টি
B
পৃথিবীর আকৃতি
C
আকাশ নীল দেখায়
D
চাঁদের আবরণ
উত্তরের বিবরণ
বিক্ষেপণ:
- সূর্যের মধ্যে বিভিন্ন তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের সাত রঙের আলো আছে।
- এক আলোক তরঙ্গ যখন অত্যন্ত ক্ষুদ্র কোনো কণার উপর পড়ে, তখন এ কণাগুলো আলোক তরঙ্গকে বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে দেয়, আর এ ছড়িয়ে দেয়াকে আলোর বিক্ষেপন বলে।
- এ আলোর বিক্ষেপন নির্ভর করে আলোক তরঙ্গদৈর্ঘ্যের উপর।
- যে আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য যত কম, তার বিক্ষেপণ তত বেশি।
- নীল বর্ণের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য কম তাই নীল আলোর বিক্ষেপণ বেশি হয়, ফলে আকাশ নীল দেখায়।
- সূর্যরশ্মি যখন বায়ুমণ্ডলে সূক্ষ্ম ধূলিকণা ও অণুতে আপতিত হয়, তখন নীল রঙ ও এর কাছাকাছি রঙগুলোর বিক্ষেপন বেশি হয়।
- ফলে বেগুনি, আসমানী ও নীল রঙের প্রাচুর্য্য ঘটায় বলে আকাশ নীল দেখায়।
0
Updated: 1 month ago
আলোর কোন ধর্মের জন্য আকাশ নীল দেখায়?
Created: 2 weeks ago
A
প্রতিসরণ
B
অপবর্তন
C
পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন
D
বিক্ষেপণ
সূর্যের আলোতে বিভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের সাতটি বর্ণের আলো বিদ্যমান থাকে। এই আলোকরশ্মিগুলো বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করার সময় সূক্ষ্ম কণার সঙ্গে প্রতিক্রিয়া করে এবং বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়ে, যাকে আলোর বিক্ষেপণ (Scattering of Light) বলা হয়।
-
সূর্যের আলোতে থাকা দৃশ্যমান বর্ণগুলোর ক্রম হলো: বেগুনি, নীল, আসমানী, সবুজ, হলুদ, কমলা, লাল।
-
যখন আলো অত্যন্ত সূক্ষ্ম কণার উপর আপতিত হয়, তখন সেই কণাগুলো আলোকে বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে দেয়।
-
এই বিক্ষেপণের পরিমাণ নির্ভর করে আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের উপর।
-
তরঙ্গদৈর্ঘ্য যত কম, বিক্ষেপণ তত বেশি; আর তরঙ্গদৈর্ঘ্য যত বেশি, বিক্ষেপণ তত কম।
-
নীল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য ছোট হওয়ায় এর বিক্ষেপণ সর্বাধিক, ফলে আকাশ নীল দেখা যায়।
-
সূর্যরশ্মি যখন বায়ুমণ্ডলের ধূলিকণা, জলের অণু বা গ্যাসের অণুতে আপতিত হয়, তখন নীল, আসমানী ও বেগুনি আলো বেশি পরিমাণে ছড়িয়ে পড়ে।
-
মানবচক্ষু বেগুনি রশ্মির তুলনায় নীল রশ্মির প্রতি বেশি সংবেদনশীল, তাই আকাশ প্রধানত নীল রঙে দৃশ্যমান হয়।
-
অন্যদিকে, লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি বলে এর বিক্ষেপণ সবচেয়ে কম; তাই সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় আকাশে লালচে আভা দেখা যায়।
0
Updated: 2 weeks ago