বর্তমানে পৃথিবীর মোট ব্যবহৃত শক্তির কত ভাগ নবায়নযোগ্য?
A
অর্ধেকের বেশি
B
দুই ভাগের এক ভাগ
C
পাঁচ ভাগের এক ভাগ
D
দশ ভাগের এক ভাগ
উত্তরের বিবরণ
শক্তির উৎস:
- শক্তির উৎস প্রধানত দুই প্রকার।
যথা-
১। নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস:
- বর্তমানে পৃথিবীর সব মানুষ যে পরিমাণ শক্তি ব্যবহার করে তার পাঁচ ভাগের এক ভাগ হচ্ছে নবায়নযোগ্য শক্তি।
- নবায়নযোগ্য শক্তি হলো এমন এক শক্তির উৎস যা স্বল্প সময়ের ব্যবধানে পুনরায় ব্যবহার করা যায় এবং এর ফলে শক্তির উৎসটি নিঃশেষ হয়ে যায় না।
- নবায়নযোগ্য শক্তি পরিবেশ বান্ধব এবং এই শক্তিকে গ্রীন শক্তিও বলা হয়।
যেমন- সমুদ্রস্রোত, বায়োগ্যাস, বায়ুপ্রবাহ, সৌর শক্তি, ভূ-তাপীয় শক্তি ইত্যাদি নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস।
২। অনবায়নযোগ্য শক্তির উৎস:
- অন্যদিকে অনবায়নযোগ্য শক্তিকে পুনরায় ব্যবহার করা যায় না।
- প্রকৃতিতে অনবায়নযোগ্য শক্তির উৎস সীমিত।
- আমাদের দেশে চাহিদার তুলনায় অনবায়নযোগ্য শক্তির মজুদের পরিমাণ খুব বেশি নয়।
- অনবায়নযোগ্য শক্তির উৎপাদনের খরচ বেশি এবং এটি অনেক ক্ষেত্রে পরিবেশ বান্ধব নয়।
যেমন- কয়লা, খনিজ তেল, নিউক্লিয় শক্তি, প্রাকৃতিক গ্যাস ইত্যাদি অনবায়নযোগ্য শক্তির উৎস।
0
Updated: 1 month ago
শক্তির সংরক্ষণশীলতার সূত্র অনুযায়ী নিচের কোনটি সঠিক নয়?
Created: 1 month ago
A
শক্তিকে সৃষ্টি বা ধ্বংস করা যায়
B
শক্তিকে সৃষ্টি বা ধ্বংস করা যায় না
C
শক্তির রূপান্তরে মহাবিশ্বের মোট শক্তির কোনো পরিবর্তন হয় না
D
শক্তিকে এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় রূপান্তর করা যায়
শক্তির সংরক্ষণশীলতা সূত্র:
শক্তির নিত্যতার বিধি অনুসারে শক্তিকে সৃষ্টি বা ধ্বংস করা যায় না, শক্তিকে এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় রূপান্তর করা যায় মাত্র।
পৃথিবীর মোট শক্তির পরিমাণগত কোনো পরিবর্তন হয় না।
প্রকৃতপক্ষে নতুন কোনো শক্তি সৃষ্টি করা যায় না বা শক্তি ধ্বংসও করা যায় না।
এ বিশ্ব সৃষ্টির মুহূর্তে যে পরিমাণ শক্তি ছিল মহাবিশ্বে, আজও সেই পরিমাণ শক্তি রয়েছে।
এই শক্তি একটু বাড়েনি বা কমেনি, এটাই শক্তির অবিনশ্বরতা বা নিত্যতা বা সংরক্ষণশীলতা।
অন্যদিকে,
মানুষ তার চাহিদা অনুসারে শক্তিকে এক রূপ থেকে অন্য রূপে রূপান্তর করে ব্যবহার করছে।
এ মহাবিশ্বে নানা ঘটনা প্রবাহ চলছে শক্তির রূপান্তর আছে বলে।
শক্তি এক রূপ থেকে একাধিক রূপে রূপান্তর হলেও মহাবিশ্বের মোট শক্তির কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না।
এক রূপের শক্তিকে রূপান্তর করে যখন অন্য রূপের শক্তিতে রূপান্তর করা হয় তখন একে শক্তির রূপান্তর বলা হয়।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 1 month ago
অনবায়নযোগ্য শক্তি নয় কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
বায়োগ্যাস
B
খনিজ তেল
C
কয়লা
D
প্রাকৃতিক গ্যাস
শক্তির উৎস সাধারণভাবে দুই প্রকার—নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস ও অনবায়নযোগ্য শক্তির উৎস। এ দুটি উৎসের পার্থক্য শক্তির ব্যবহার, পুনঃউৎপাদন ও পরিবেশগত প্রভাবের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়।
১। নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস
এ ধরনের শক্তি বারবার ব্যবহার করা যায় এবং প্রাকৃতিকভাবে পুনরায় উৎপন্ন হয়। এটি পরিবেশ বান্ধব হওয়ায় একে গ্রীন শক্তিও বলা হয়।
-
নবায়নযোগ্য শক্তি প্রকৃতিতে স্বাভাবিকভাবে পুনরায় সৃষ্টি হয়।
-
এর ব্যবহার দূষণমুক্ত ও টেকসই উন্নয়নের সহায়ক।
-
এই শক্তি জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমাতে সাহায্য করে।
-
উদাহরণ: সৌর শক্তি, জলবিদ্যুৎ, বায়ু বিদ্যুৎ, বায়োগ্যাস, ভূ-তাপীয় শক্তি ইত্যাদি।
-
নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহারে জলবায়ু পরিবর্তন ও গ্লোবাল ওয়ার্মিং কমানো সম্ভব।
২। অনবায়নযোগ্য শক্তির উৎস
এ ধরনের শক্তি একবার ব্যবহার করলে পুনরায় উৎপন্ন করা যায় না বা অত্যন্ত ধীরে সৃষ্টি হয়। প্রকৃতিতে এর পরিমাণ সীমিত।
-
অনবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদনে খরচ বেশি এবং এটি পরিবেশবান্ধব নয়।
-
এ উৎসগুলো ব্যবহারে কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ বৃদ্ধি পায়, যা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ।
-
শক্তির এ রূপ মূলত ভূগর্ভস্থ সম্পদ থেকে আহরণ করা হয়।
-
উদাহরণ: কয়লা, খনিজ তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, নিউক্লিয় শক্তি ইত্যাদি।
-
ভবিষ্যতে এ ধরনের উৎস নিঃশেষ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকায় এর বিকল্প হিসেবে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বাড়ানো হচ্ছে।
0
Updated: 2 weeks ago
কয়লার দহনের সময় কোন গ্যাস বায়ুতে মিশে এসিড বৃষ্টি সৃষ্টি করে?
Created: 1 month ago
A
মিথেন
B
কার্বন ডাই-অক্সাইড
C
কার্বন মনোক্সাইড
D
সালফার ডাই-অক্সাইড
জ্বালানি বিশুদ্ধ থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ জীবাশ্ম জ্বালানি দহনের ফলে পরিবেশ ও স্বাস্থ্য উভয়ের জন্য বিভিন্ন ক্ষতিকর পদার্থ সৃষ্টি হয়। জীবাশ্ম জ্বালানির দহন সাধারণত কার্বন ডাই-অক্সাইড, পানি ও তাপ উৎপন্ন করে, কিন্তু স্বল্প বায়ুতে দহন হলে কিছু পরিমাণ কার্বন মনোক্সাইড (CO) উৎপন্ন হয়, যা একটি বিষাক্ত নীরব ঘাতক গ্যাস।
-
কার্বন মনোক্সাইডের প্রভাব: স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ।
-
কয়লার বর্জ্য উপাদান: সালফার ও নাইট্রোজেন যথেষ্ট পরিমাণে থাকে। দহনের সময় সালফার সালফার ডাই-অক্সাইড (SO₂) এবং নাইট্রোজেন বিভিন্ন নাইট্রোজেন অক্সাইড যৌগ হিসেবে বায়ুতে মিশে থাকে।
-
এসিড বৃষ্টি সৃষ্টি: SO₂ জলীয় বাষ্পের সাথে যুক্ত হয়ে সালফিউরিক এসিড উৎপন্ন করে, আর নাইট্রোজেন অক্সাইড জলীয় বাষ্পের সাথে যুক্ত হয়ে নাইট্রিক এসিড ও নাইট্রাস এসিড উৎপন্ন করে, যা এসিড বৃষ্টি ঘটায়।
-
জ্বালানিতে টেট্রাইথাইল লেড (TEL): ইঞ্জিনের নকিং কমানোর জন্য মিশ্রিত করা হয়। এর দহনের ফলে লেড অক্সাইড (PbO) এবং লেড ডাই অক্সাইড (PbO₂) তৈরি হয়, যা শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশে বাধা সৃষ্টি করে।
-
যানবাহনের বর্জ্য ধোঁয়া: কালো ধোঁয়ার মধ্যে কার্বন মনোক্সাইড (CO), নাইট্রাস অক্সাইড (N₂O) এবং অদগ্ধ জ্বালানি যেমন মিথেন বায়ুতে মিশে থাকে।
-
ফটোকেমিক্যাল ধোঁয়া: সূর্যালোকের উপস্থিতিতে বর্জ্য উপাদান পরিবর্তিত হয়ে তৈরি হয় বিষাক্ত ধোঁয়া, যা ওজোন স্তর ক্ষয় করে এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়নে ভূমিকা রাখে।
এই সব বিষয় বিবেচনা করে পরিবেশ বান্ধব ও স্বাস্থ্যসম্মত বিশুদ্ধ জ্বালানি ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য।
0
Updated: 1 month ago