ইন্টারনেট উপযোগী বিশেষ ধরনের লিংককে কী বলা হয়?
A
হ্যাশট্যাগ
B
সাবলিংক
C
ইউআরএল
D
হাইপারলিংক
উত্তরের বিবরণ
ডব্লিউডব্লিউডব্লিউ (WWW):
- ডব্লিউডব্লিউডব্লিউ এর পুরো অর্থ হলো ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (WWW - World Wide Web)।
- এটিকে সংক্ষেপে ওয়েব নামেও অভিহিত করা হয়।
- ওয়েব বলতে একটি বৃহৎ সিস্টেমকে বুঝানো হয় যা অনেকগুলো সার্ভার (যা ওয়েব সার্ভার হিসেবে বিবেচিত হয়) সংযুক্তির মাধ্যমে গঠিত হয়।
- এসব ওয়েব সার্ভার ইন্টারনেট ইউজারদের যেকোনো ধরনের তথ্য সরবরাহ করতে সক্ষম।
- এ তথ্য হতে পারে প্রচলিত টেক্সট ফাইল, ছবি, শব্দ বা অন্য কোনো ফরমেটের ডেটা।
- এ সকল তথ্য ব্যবহার করতে হলে ইউজারকে একটি ক্লায়েন্ট বা অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম ব্যবহার করতে হয় যা ব্রাউজার (Browser) নামে পরিচিত।
- ওয়েবে তথ্য মূলত সংরক্ষিত হয়ে থাকে পেইজ (Page) বা পৃষ্ঠার আকারে।
- প্রতিটি পেইজে শুধু তথ্যই থাকে না, বরং এখান থেকে অন্য পেইজে যাবার জন্য থাকে বিশেষ ধরনের লিংক (Link) প্রদান করা হয়। ইন্টারনেট উপযোগী বিশেষ ধরনের এই লিংককে বলা হয় হাইপারলিংক (Hyperlink)।
- ওয়েবে হাইপারলিংক ব্যবহার করে খুব সহজেই এক পৃষ্ঠা থেকে অন্য পৃষ্ঠায় চলাচল করতে পারা যায়।
0
Updated: 1 month ago
IoT কী ধরনের প্রযুক্তি?
Created: 2 months ago
A
ম্যানুয়াল কন্ট্রোল সিস্টেম
B
বস্তু/যন্ত্রের ইন্টারনেট ভিত্তিক সংযুক্তি
C
ক্লাউড কম্পিউটিং নির্ভর প্রযুক্তি
D
ডেটা সেন্টার ভিত্তিক যোগাযোগ ব্যবস্থা
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
ইন্টারনেট (Internet)
ইন্টারনেটের সংযোগ পদ্ধতি (Internet Connectivity Methods)
IoT (Internet of Things)
-
IoT হলো এমন একটি প্রযুক্তি যেখানে যন্ত্র, সেন্সর ও ডিভাইস ইন্টারনেটের মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে এবং তথ্য আদান-প্রদান করে।
-
দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার: গাড়ির গ্যারেজের দরজা, গাড়ি কন্ট্রোল, ফ্যান, টিভি, দরজার ইলেকট্রিক লক ইত্যাদি যন্ত্রকে অটোমেটিক করা।
-
ঘরের ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি যেমন টিভি, ফ্রিজ, লাইট ইন্টারনেটের সঙ্গে সংযুক্ত করে দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
0
Updated: 2 months ago
স্টারলিঙ্ক ইন্টারনেটের মূল সুবিধা কী?
Created: 2 weeks ago
A
অনির্দিষ্ট ফ্রি ডেটা
B
ফাইবার-অপটিক সংযোগের তুলনায় দ্রুত
C
প্রত্যন্ত ও গ্রামীণ অঞ্চলে ইন্টারনেট
D
বিল্ট-ইন স্ট্রিমিং সার্ভিস
স্টারলিঙ্ক ইন্টারনেটের মূল সুবিধা হলো প্রত্যন্ত ও গ্রামীণ অঞ্চলে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করা। পৃথিবীর অনেক স্থানে এখনো ফাইবার-অপটিক বা ব্রডব্যান্ড অবকাঠামো পৌঁছেনি, ফলে সেইসব এলাকার মানুষ নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট সেবার বাইরে থাকে। স্টারলিঙ্ক (Starlink) এই সীমাবদ্ধতা দূর করতে মহাকাশে স্থাপিত হাজার হাজার স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সরাসরি ব্যবহারকারীর রিসিভার ডিশে ইন্টারনেট সিগন্যাল প্রেরণ করে। এর ফলে ভৌগোলিক প্রতিবন্ধকতা যেমন পাহাড়ি এলাকা, দূরবর্তী দ্বীপ বা গ্রামীণ অঞ্চলেও স্থিতিশীল ইন্টারনেট সেবা পাওয়া সম্ভব হয়। তাই স্টারলিঙ্কের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো সবার কাছে ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়া, যা ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি, শিক্ষা, ব্যবসা, চিকিৎসা ও যোগাযোগে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনছে।
সঠিক উত্তর: প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করা।
• স্টারলিঙ্ক ইন্টারনেট (Starlink Internet): এটি ইলন মাস্ক প্রতিষ্ঠিত SpaceX-এর একটি প্রকল্প, যার উদ্দেশ্য হলো স্যাটেলাইট-ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা প্রদান করা।
• SpaceX কোম্পানিটি ২০১৫ সালে এই প্রকল্প শুরু করে এবং ২০১৮ সালে প্রথম প্রোটোটাইপ স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠায়।
• স্টারলিঙ্ক বর্তমানে পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে (Low Earth Orbit বা LEO) হাজারো স্যাটেলাইট পরিচালনা করছে, যেগুলো সমন্বিতভাবে বৈশ্বিক ইন্টারনেট কাভারেজ নিশ্চিত করে।
• এটি Low Latency Internet Service প্রদান করে, যা প্রচলিত স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের তুলনায় দ্রুত প্রতিক্রিয়া সময় নিশ্চিত করে।
• স্টারলিঙ্কের মাধ্যমে SpaceX নিজস্ব মহাকাশ মিশন, বিভিন্ন গবেষণা কেন্দ্র, এমনকি মার্কিন নভোচারী প্রতিষ্ঠান NASA পর্যন্ত ইন্টারনেট সেবা পেয়ে থাকে।
স্টারলিঙ্ক ইন্টারনেটের বৈশিষ্ট্য:
• পৃথিবীর যেকোনো স্থান থেকে সংযোগ স্থাপন করা যায়।
• স্থলভিত্তিক অবকাঠামোর ওপর নির্ভরশীল নয়।
• প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হলেও যোগাযোগ বজায় রাখা সম্ভব।
• দ্রুতগতির (Broadband-level) ইন্টারনেট সরবরাহ করে।
• দূরবর্তী অঞ্চলে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবসা ও জরুরি যোগাযোগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
• গ্রামীণ ও দ্বীপাঞ্চলে ডিজিটাল বৈষম্য হ্রাস করে বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট ব্যবহারের সমতা আনছে।
• বর্তমানে স্টারলিঙ্কের সেবা বিশ্বব্যাপী ৭০টিরও বেশি দেশে চালু রয়েছে এবং এটি ভবিষ্যতে আরও স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মাধ্যমে পুরো পৃথিবীকে একক নেটওয়ার্কে যুক্ত করার লক্ষ্যে কাজ করছে।
0
Updated: 2 weeks ago
কোনটি ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের অন্তর্ভুক্ত নয়?
Created: 1 month ago
A
পাবলিক ক্লাউড
B
প্রাইভেট ক্লাউড
C
হাইব্রিড ক্লাউড
D
ওপেন ক্লাউড
'ওপেন ক্লাউড' ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের অন্তর্ভুক্ত নয়
ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের ধরণ:
ক্লাউডের অবস্থান ও মানুষের মাঝে সেবার বিস্তৃতি অনুসারে তিন ভাগে বিভক্ত:
-
পাবলিক ক্লাউড
-
প্রাইভেট ক্লাউড
-
মিশ্র/হাইব্রিড ক্লাউড
ক্লাউড কম্পিউটিং:
-
কম্পিউটার রিসোর্স যেমন হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, নেটওয়ার্ক ডিভাইস ইত্যাদি ব্যবহার করে কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সেবা প্রদান।
-
২০০৬ সালে অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিস বাণিজ্যিকভাবে ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবহার শুরু করে।
বৈশিষ্ট্য:
-
On-demand
-
Resource scalability
-
Pay as you go
উৎস: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান
0
Updated: 1 month ago