গ্রিন হাউজ গ্যাসের উদাহরণ কোনটি?
A
আর্গন
B
হাইড্রোজেন
C
মিথেন
D
সালফার ডাই-অক্সাইড
উত্তরের বিবরণ
গ্রিন হাউজ প্রভাব:
- ওজোন স্তরে ক্ষত সৃষ্টি হলে পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধি পেয়ে কৃষি ও পরিবেশের ওপর যে বিরুপ প্রভাব ফেলে একেই গ্রিন হাউজ প্রভাব (Green House Effect) বলা হয়।
- গ্রিন হাউস ইফেক্টের ফলে বায়ুমণ্ডল উত্তপ্ত হচ্চে।
- ফলে মেরু অঞ্চলের বরফ ক্রমে গলে যাচ্ছে।
- এর ফলে বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর নিম্নভূমি ক্রমশ নিমজ্জিত হবে।
- গ্রীন হাউজ ইফেক্টের জন্য দায়ী গ্যাসগুলোকে বলা হয় গ্রীন হাউজ গ্যাস।
- কয়েকটি উল্লেখযোগ্য গ্রীন হাউজ গ্যাস হচ্ছে:
• জলীয় বাষ্প,
• কার্বন ডাই-অক্সাইড,
• নাইট্রাস অক্সাইড,
• মিথেন,
• ওজোন,
• ক্লোরোফ্লোরো কার্বন ইত্যাদি।
- কার্বন ডাই সালফাইড এবং কার্বনিল সাইফাইড পরোক্ষ গ্রিন হাউজ গ্যাস।
অন্যদিকে,
- আর্গন, হাইড্রোজেন ও সালফার ডাই-অক্সাইড গ্রীন হাউজ গ্যাস নয়।
0
Updated: 1 month ago
গ্রিনহাউজ কি?
Created: 1 month ago
A
কাঁচের তৈরি ঘর
B
সবুজ আলোর আলোকিত ঘর
C
সবুজ ভবনের নাম
D
সবুজ গাছপালা
গ্রিনহাউস হলো এমন একটি বিশেষ ধরনের ভবন যা উদ্ভিদকে অতিরিক্ত ঠান্ডা বা গরম থেকে রক্ষা করে। এটি মূলত এমন উদ্ভিদের জন্য ব্যবহৃত হয় যেগুলো স্বাভাবিক ঋতুতে ভালোভাবে বেড়ে উঠতে পারে না।
গ্রিনহাউস সাধারণত কাঠ বা ধাতব ফ্রেমের ওপর তৈরি কাচ বা শক্ত প্লাস্টিকের দেয়াল ও ছাদের মাধ্যমে গঠিত হয়। আধুনিক গ্রিনহাউসে সাধারণত ফল, শাকসবজি, ফুল এবং অন্যান্য উদ্ভিদ উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত হয়, যেখানে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের সুবিধা থাকে।
উৎস: Encyclopaedia Britannica
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি গ্রীনহাউজ গ্যাস নয়?
Created: 1 week ago
A
জলীয় বাষ্প (H2O)
B
কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO2)
C
মিথেন (CH4)
D
নাইট্রিক অক্সাইড (NO)
গ্রীনহাউজ গ্যাস মূলত পৃথিবীর তাপমাত্রা ধরে রাখার জন্য দায়ী, যা জীবনধারার উপযোগী পরিবেশ বজায় রাখতে সাহায্য করে। তবে কিছু গ্যাস অতিরিক্ত পরিমাণে বৃদ্ধি পেলে গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি বাড়ায়। এর বিপরীতে নাইট্রিক অক্সাইড (NO) গ্রীনহাউজ গ্যাস নয়; এটি মূলত এসিড বৃষ্টির জন্য দায়ী একটি গ্যাস, যা পরিবেশ ও জীবজগতের জন্য ক্ষতিকর।
-
গ্রীন হাউজ প্রভাব এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে কিছু গ্যাস সূর্যের তাপ শোষণ করে এবং পুনরায় বিকিরণ করে, ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা ধরে রাখা সম্ভব হয়।
-
শীতপ্রধান দেশে কৃষিকাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য কাঁচের ছাউনিযুক্ত ঘর নির্মাণ করা হয়, যাকে গ্রীন হাউজ বলা হয়। এর অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা সাধারণত ৩৮°C থেকে ৩৯°C পর্যন্ত থাকে, যা শাকসবজি বা অন্যান্য সবুজ ফসলের চাষের জন্য উপযুক্ত।
-
গ্রীন হাউজের কাঁচ দৃশ্যমান আলোর তরঙ্গকে (VIBGYOR) ভিতরে প্রবেশ করতে দেয়, যার ফলে ভূপৃষ্ঠ উষ্ণ হয়।
-
উত্তপ্ত ভূপৃষ্ঠ থেকে ইনফ্রারেড (IR) রশ্মি বিকিরিত হয়, কিন্তু এই রশ্মি কাঁচ ভেদ করতে পারে না, ফলে তাপ ঘরের ভেতরে আটকে যায় এবং তাপমাত্রা বেড়ে যায়।
-
এই প্রক্রিয়ার অনুরূপভাবেই পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে কিছু নির্দিষ্ট গ্যাস সূর্যের তাপ আটকে রেখে পৃথিবীকে উষ্ণ রাখে, যাদের গ্রীন হাউজ গ্যাস বলা হয়।
নিম্নে প্রধান গ্রীন হাউজ গ্যাসসমূহ ও তাদের বায়ুমণ্ডলে আনুমানিক শতাংশ দেওয়া হলো:
-
কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO2) – প্রায় ৪৯%, যা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গ্রীন হাউজ গ্যাস।
-
মিথেন (CH4) – প্রায় ১৮%, যা পশুপালন, জলাভূমি ও গ্যাস উৎপাদন থেকে নির্গত হয়।
-
নাইট্রাস অক্সাইড (N2O) – প্রায় ৬%, যা কৃষিজ সার ব্যবহারের মাধ্যমে বায়ুমণ্ডলে যায়।
-
ক্লোরোফ্লোরো কার্বন (CFC) – প্রায় ১৪%, যা রেফ্রিজারেন্ট ও এরোসল স্প্রে থেকে উৎপন্ন হয়।
-
ওজোন (O3) – প্রায় ৮%, যা বায়ুমণ্ডলের উপরের স্তরে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করে।
-
জলীয় বাষ্প (H2O) – স্বাভাবিকভাবে উপস্থিত থেকে তাপমাত্রা ধরে রাখায় বড় ভূমিকা রাখে।
যদিও শেষের গ্যাসগুলোর পরিমাণ বায়ুমণ্ডলে তুলনামূলকভাবে কম, তবুও এদের ইনফ্রারেড রশ্মি শোষণ ও বিকিরণ ক্ষমতা CO2-এর চেয়ে অনেক বেশি, ফলে গ্লোবাল ওয়ার্মিং বৃদ্ধিতে এদের অবদান উল্লেখযোগ্য।
অন্যদিকে, নাইট্রিক অক্সাইড (NO) কোনোভাবেই গ্রীন হাউজ গ্যাস নয়। এটি নাইট্রোজেন অক্সাইডসমূহের (NO, NO2) একটি অংশ, যা সালফার ডাই-অক্সাইড (SO2)-এর সঙ্গে প্রতিক্রিয়া করে বৃষ্টির জলে অম্লীয় যৌগ তৈরি করে। এর ফলে এসিড বৃষ্টি হয়, যা মাটি, জলাশয়, উদ্ভিদ ও স্থাপত্য কাঠামোর মারাত্মক ক্ষতি সাধন করে।
অতএব, গ্রীনহাউজ গ্যাস ও নাইট্রিক অক্সাইডের ভূমিকা সম্পূর্ণ ভিন্ন—গ্রীনহাউজ গ্যাস পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সম্পর্কিত, আর নাইট্রিক অক্সাইড পরিবেশের অম্লতা বৃদ্ধি ও দূষণের জন্য দায়ী।
0
Updated: 1 week ago
কোন্ গ্যাস গ্রিন হাউস ইফেক্ট ঘটায়?
Created: 1 month ago
A
হাইড্রোজেন
B
নাইট্রোজেন
C
অক্সিজেন
D
মিথেন
মিথেন গ্যাস গ্রিন হাউস ইফেক্ট ঘটায়। গ্রিন হাউস প্রভাব মূলত এমন এক প্রক্রিয়া যেখানে নির্দিষ্ট কিছু গ্যাস সূর্য থেকে আগত রশ্মির তাপ বায়ুমণ্ডলে আটকে দিয়ে পৃথিবীকে উত্তপ্ত করে।
এই প্রভাবের কারণে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে, যাকে বৈশ্বিক উষ্ণতা (Global Warming) বলা হয়। নিচে বিষয়টি বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো।
-
গ্রিন হাউস প্রভাব
-
শীতপ্রধান দেশে কাঁচের তৈরি গ্রিন হাউস ব্যবহার করে কৃত্রিমভাবে উদ্ভিদ জন্মানো হয়।
-
গ্রিন হাউস গ্যাসসমূহ (Greenhouse gases) ঠিক ওই কাঁচের ঘরের মতো কাজ করে—সূর্যালোক ভেতরে ঢুকতে দেয় কিন্তু তাপ বাইরে বের হতে বাঁধা সৃষ্টি করে।
-
এভাবে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বাড়ার ঘটনাকেই গ্রিন হাউস ইফেক্ট (Greenhouse Effect) বলা হয়।
-
এই ধারণাটি সর্বপ্রথম Svante Arrhenius ব্যবহার করেন।
-
প্রধান গ্রিন হাউস গ্যাসসমূহ হলো: কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO2), মিথেন (CH4), নাইট্রাস অক্সাইড (N2O), ক্লোরোফ্লোরোকার্বন (CFC) প্রভৃতি।
-
-
কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO2)
-
এটি বর্ণহীন ও সামান্য গন্ধযুক্ত গ্যাস, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের প্রায় ০.০৩% অংশ জুড়ে রয়েছে।
-
উৎপত্তির উৎস: প্রাণীর প্রশ্বাস, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত, জৈব পদার্থের পচন, মোটরযান ও শিল্পকারখানার জীবাশ্ম জ্বালানি (কয়লা, তেল, গ্যাস) পোড়ানো।
-
ব্যবহার: রেফ্রিজারেন্ট (আইসক্রিম সংরক্ষণে, ফায়ার এক্সটিংগুইশার)।
-
সমস্যা: বন উজাড় ও অধিক হারে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের কারণে এর পরিমাণ দ্রুত বাড়ছে, ফলে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
-
-
মিথেন (CH4)
-
প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান।
-
জলাভূমি, ধানের অবশিষ্টাংশ, পচা জৈব পদার্থ থেকে উৎপন্ন হয়।
-
তাপ ধারণ ক্ষমতা CO2-এর চাইতে প্রায় ২০ গুণ বেশি, তাই বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধিতে এর ভূমিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
-
-
ক্লোরোফ্লোরোকার্বন (CFC)
-
বিষমুক্ত ও নিষ্ক্রিয় যৌগ, গঠনে থাকে কার্বন ও ফ্লোরিন।
-
ব্যবহার: ফ্রিজ ও এসির কুল্যান্ট, স্প্রে-ক্যান (aerosol), মাইক্রো-ইলেকট্রনিক সার্কিট, প্লাস্টিক ফোম উৎপাদন।
-
সমস্যার দিক: ওজোন স্তর ক্ষয়ের জন্য দায়ী।
-
-
নাইট্রাস অক্সাইড (N2O)
-
এটি বর্ণহীন ও সামান্য মিষ্টি গন্ধযুক্ত গ্যাস।
-
উৎস: মোটরযান, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, নাইট্রোজেন সার, কারখানার নির্গমন।
-
এটি গ্রিন হাউস গ্যাস হিসেবে বায়ুমণ্ডলকে উষ্ণ করে।
-
-
যেসব গ্যাস গ্রিন হাউস গ্যাস নয়
-
নাইট্রোজেন ও অক্সিজেন—এগুলো বায়ুমণ্ডলে সর্বাধিক পরিমাণে থাকলেও গ্রিন হাউস প্রভাব ঘটায় না।
-
হাইড্রোজেন—সবচেয়ে হালকা গ্যাস, স্বাভাবিক অবস্থায় রংহীন, গন্ধহীন ও স্বাদহীন।
-
0
Updated: 1 month ago