’বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট’ কোথায় অবস্থিত?
A
পাবনা
B
দিনাজপুর
C
বগুড়া
D
রংপুর
উত্তরের বিবরণ
সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএসআরআই)
-
সংক্ষিপ্ত পরিচিতি: বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএসআরআই) দেশের একটি অগ্রজ গবেষণা প্রতিষ্ঠান।
-
অবস্থান: ঈশ্বরদী
-
গবেষণা ক্ষেত্র: ইক্ষু, তাল, খেজুর, গোলপাতা ও সুগারবীট ফসলের উপর।
-
অন্যান্য গবেষণা: চিনি, গুড় ও চিবিয়ে খাওয়াসহ ইক্ষুর বহুমুখী ব্যবহারের উপর।
-
অর্থনৈতিক গুরুত্ব: বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের স্বল্প বৃষ্টিপাত এলাকায় ইক্ষু একমাত্র নির্ভরযোগ্য অর্থকরী ফসল।
-
শিল্প গঠন: ইক্ষুর উপর ভিত্তি করে দেশে চিনি ও গুড় তৈরির শিল্প গড়ে উঠেছে।
উৎস: বিএসআরআই ওয়েবসাইট
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী কৃষিপণ্য কোনটি?
Created: 1 month ago
A
ইক্ষু
B
চা
C
পাট
D
তামাক
অর্থকরী ফসল
-
সংজ্ঞা: যেসব কৃষিপণ্য বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করা হয়, সেগুলোকে অর্থকরী ফসল বলা হয়।
-
বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী কৃষিপণ্য: পাট, চা ও তামাক।
-
অন্য অর্থকরী ফসলসমূহ: আখ বা ইক্ষু, তুলা, রাবার ইত্যাদি।
পাট
-
পাট বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী ফসল।
-
পাট ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে।
-
উৎপাদন পরিসংখ্যান (কৃষি পরিসংখ্যান বর্ষগ্রন্থ – ২০২৪ অনুযায়ী):
-
মোট পাট উৎপাদন: ৯৫,৮১,৫৮০ বেল
-
সর্বাধিক উৎপাদন: ফরিদপুর জেলা
-
-
পাট চাষ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে এবং এটি রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম উৎস।
0
Updated: 1 month ago
কৃষিক্ষেত্রে রবি মৌসুমের সময়কাল কোনটি?
Created: 1 month ago
A
চৈত্র থেকে আষাঢ়
B
শ্রাবণ থেকে আশ্বিন
C
কার্তিক থেকে ফাল্গুন
D
জ্যৈষ্ঠ থেকে ভাদ্র
বাংলাদেশে ফসল উৎপাদনের জন্য পুরো বছরকে প্রধানত দুটি মৌসুমে ভাগ করা হয়, যেগুলো হলো রবি মৌসুম এবং খরিপ মৌসুম। এই মৌসুমগুলি বিভিন্ন ফসলের বপন ও উৎপাদনের সময় নির্ধারণ করে এবং কৃষিকাজকে সুষ্ঠুভাবে সংগঠিত করতে সহায়তা করে।
রবি মৌসুম:
-
শীতকালীন শস্যকে রবি শস্য বলা হয়।
-
এই মৌসুম চলে কার্তিক থেকে ফাল্গুন পর্যন্ত।
-
রবি শস্য সাধারণত অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে বপন করা হয়।
-
ফসল তোলার সময় ফেব্রুয়ারি ও মার্চ।
-
এই মৌসুমের প্রধান শস্যগুলো হলো: বোরো ধান, গম, মসুর ডাল, যব, সরিষা, পেঁয়াজ, মটরশুঁটি।
-
এছাড়া অন্যান্য শাকসবজি ও ফলনশীল ফসল যেমন ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, গাজর, লাউ, শিম, টমেটো, আলুও এই মৌসুমে চাষ করা হয়।
খরিপ মৌসুম:
-
গ্রীষ্মকালীন শস্যকে খরিপ শস্য বলা হয়।
-
খরিপ মৌসুম চলে চৈত্র থেকে আষাঢ় এবং শ্রাবণ থেকে আশ্বিন পর্যন্ত।
-
এটি সাধারণত খরিফ-১ ও খরিফ-২ নামে দুটি ভাগে বিভক্ত।
-
এই মৌসুমের ফসলগুলোর মধ্যে রয়েছে: আউশ ধান, পাট, কাউন, ভুট্টা, তিল, মিষ্টিকুমড়া, কচু, ঝিঙ্গা, আমন ধান, মাষকলাই এবং বর্ষাকালীন সবজি।
0
Updated: 1 month ago
বর্তমানে চা বোর্ডের অধীনে বাংলাদেশের নিবন্ধিত চা বাগানের সংখ্যা কয়টি? [সেপ্টেম্বর, ২০২৫]
Created: 1 month ago
A
১৬৫টি
B
১৬৮টি
C
১৭০টি
D
১৭২টি
বাংলাদেশে চায়ের চাষাবাদ শুরু হয় ১৮৪০ সালে এবং ১৮৫৪ সালে সিলেটের মালনিছড়ায় প্রথম বাণিজ্যিক চা বাগান প্রতিষ্ঠা করা হয়। স্বাধীনতার পূর্ব পর্যন্ত দেশে চা আবাদ সীমিত ছিল শুধুমাত্র দুইটি জেলায়। পরবর্তীতে হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে আরও চা বাগান তৈরি হয়। বাংলাদেশ চা বোর্ডের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে ১৭০টি নিবন্ধিত চা বাগান রয়েছে।
-
বাংলাদেশে চা চাষের শুরু: ১৮৪০
-
প্রথম বাণিজ্যিক চা বাগান: ১৮৫৪, সিলেটের মালনিছড়া
-
স্বাধীনতার পূর্ব চা চাষের জেলা: সিলেট ('সুরমা ভ্যালি') ও চট্টগ্রাম ('হালদা ভ্যালি', বর্তমানে চট্টগ্রাম ভ্যালি)
-
পরবর্তীতে চা বাগান বৃদ্ধি: হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার
-
বর্তমানে নিবন্ধিত চা বাগান: ১৭০টি
-
সর্বাধিক চা বাগান: মৌলভীবাজার (৯০টি)
0
Updated: 1 month ago