A
ঠাকুরগাঁও
B
দিনাজপুর
C
নওগাঁ
D
কুষ্টিয়া
উত্তরের বিবরণ
ভুট্টা উৎপাদন ও আবাদ (কৃষি পরিসংখ্যান বর্ষগ্রন্থ-২০২৪ অনুযায়ী)
-
মোট ভুট্টা উৎপাদন: ৪,৫৯,৫০৭.৬৩ মেট্রিক টন
-
মোট ভুট্টা আবাদ: ১২,২৭,২৯৯.৩৭ একর
-
সর্বোচ্চ ভুট্টা উৎপাদনকারী জেলা: দিনাজপুর (৬,৪১,৪০৬.৮৯ মেট্রিক টন)
-
ঠাকুরগাঁও জেলার ভুট্টা আবাদ (২০২৩-২৪): ১,৭২,৪৯৮ একর
অন্যান্য শীর্ষ উৎপাদনকারী জেলা:
-
ধান: ময়মনসিংহ
-
গম: ঠাকুরগাঁও
-
তুলা: ঝিনাইদহ
-
চা: মৌলভীবাজার
-
তামাক: কুষ্টিয়া
-
পাট: ফরিদপুর
-
আলু: রংপুর
উৎস: কৃষি পরিসংখ্যান বর্ষগ্রন্থ-২০২৪

0
Updated: 1 day ago
নিচের কোনটি বাংলাদেশের শিল্প সংক্রান্ত অর্থনৈতিক কর্মকান্ড নয়?
Created: 1 month ago
A
মাছ চাষ
B
বস্ত্র
C
পাট
D
সিমেন্ট
শিল্প ও বাংলাদেশের অর্থনীতি
মাছ চাষ শিল্প নয়, এটি কৃষিভিত্তিক কাজ।
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে শিল্প একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। যদিও বাংলাদেশ কৃষিনির্ভর দেশ, তারপরও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে শিল্পের ভূমিকা অনেক বেশি।
বাংলাদেশে যেসব বড় বড় শিল্প আছে, সেগুলো হলো:
-
পাট শিল্প
-
বস্ত্র বা কাপড় বয়ন শিল্প
-
তৈরি পোশাক শিল্প
-
সার শিল্প
-
সিমেন্ট শিল্প
-
কাগজ শিল্প
-
চিনি শিল্প
-
চা শিল্প
পাট শিল্প
পাট শিল্প বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান শিল্প। এই শিল্প বিদেশে পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে। এছাড়া চাকরির সুযোগ তৈরি করে, জাতীয় আয় বাড়ায় এবং মানুষের জীবনমান উন্নত করে।
বর্তমানে দেশের পাটকলগুলো থেকে যেসব পণ্য তৈরি হয়:
-
চট
-
বস্তা
-
দড়ি
-
থলে
-
ত্রিপল
-
কাপড়
-
তাঁবু
-
ক্যানভাস
এইসব পণ্য বিদেশে যেমন ব্রিটেন, রাশিয়া, ফ্রান্স, জাপান, মিসর, কানাডা ইত্যাদি দেশে রপ্তানি হয়।
ইপিবি-এর তথ্য অনুযায়ী:
২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ প্রায় ৮২ কোটি ডলারের পাটজাত পণ্য রপ্তানি করেছে।
বস্ত্র ও তৈরি পোশাক শিল্প
বস্ত্রশিল্প বাংলাদেশের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ শিল্প। মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলোর মধ্যে বস্ত্র বা কাপড় অন্যতম।
তবে বাংলাদেশ এখনো এই খাতে পুরোপুরি স্বনির্ভর নয়। অনেক তুলা, সুতা ও কাপড় বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয় – যেমন জাপান, ভারত, কোরিয়া, পাকিস্তান প্রভৃতি দেশ থেকে।
বাংলাদেশের বস্ত্রকল ও পোশাক কারখানা যেসব জেলায় বেশি:
-
ঢাকা
-
চট্টগ্রাম
-
কুমিল্লা
-
নোয়াখালী
-
রাজশাহী
-
খুলনা
ইপিবি-এর তথ্য অনুযায়ী:
২০২৪-২৫ অর্থবছরে তৈরি পোশাক খাতে ৮.৮৪% প্রবৃদ্ধি হয়েছে এবং রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৯.৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
সিমেন্ট শিল্প
বাংলাদেশে সিমেন্ট শিল্পে তেমন উন্নতি হয়নি। কারণ, এই শিল্পে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল যেমন চুনাপাথর, কাদামাটি, জিপসাম – এগুলো দেশে খুব কম পাওয়া যায়।
১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় বাংলাদেশে মাত্র একটি সিমেন্ট কারখানা ছিল। স্বাধীনতার পর সরকার এ শিল্প উন্নয়নের জন্য উদ্যোগ নেয়। কিন্তু কাঁচামালের ঘাটতির কারণে এই খাতে তেমন অগ্রগতি হয়নি।
তথ্যসূত্র: বাণিজ্যিক ভূগোল (এইচএসসি), বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 month ago
'সোনালিকা' ও ' আকবর' বাংলাদেশের কৃষি ক্ষেত্রে কিসের নাম?
Created: 3 weeks ago
A
উন্নত কৃষি যন্ত্রপাতির নাম
B
উন্নত জাতের ধানের নাম
C
দুটি কৃষি বিষয়ক বেসরকারি সংস্থার নাম
D
উন্নত জাতের গমের নাম
বাংলাদেশের উন্নত জাতের ফসলসমূহ
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (BARI) বিভিন্ন ফসলের উন্নত জাত উদ্ভাবন করেছে, যা দেশের কৃষি উৎপাদন বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এগুলো হলো:
১. গমের উন্নত জাত:
সোনালিকা, বলাকা, দোয়েল, অগ্রণী, আনন্দ, কাঞ্চন, শতাব্দী, আকবর
২. ধানের উন্নত জাত:
ইরাটম, ব্রি হাইব্রিড-১, চান্দিনা, হীরা, মালা, বিপ্লব, দুলাভোগ, মোহিনী, সুফলা, আশা, প্রগতি
৩. তামাকের উন্নত জাত:
সুমাত্রা, ম্যানিলা
৪. ভুট্টার উন্নত জাত:
বর্ণালী, শুভ্রা, উত্তরণ
৫. আমের উন্নত জাত:
মহানন্দা, ল্যাংড়া, গোপালভোগ, হাড়িভাঙ্গা, ক্ষীরসাপাতি, মোহনভোগ
৬. টমেটোর উন্নত জাত:
বাহার, মানিক, রতন, অপূর্ব, মিন্টো, ঝুমকা, সিঁদুর, শ্রাবণী
৭. মরিচের উন্নত জাত:
যমুনা
৮. বেগুনের উন্নত জাত:
শুকতারা, নয়নতারা, তারাপুরী, ইসলামপুরী, কাজলা, বিজয়, মুক্তকেশী, ঝুমকো
৯. আলুর উন্নত জাত:
হিরা, আইলসা, পেট্রোনিস, মুল্টা, ডায়ামন্ট, কার্ডিনাল, মন্ডিয়াল, কুফরী সিন্দুরী, চমক, ধীরা, গ্রানোলা, ক্লিওপেট্রা, চিনেলা
১০. তুলার উন্নত জাত:
সিবি-১০, রূপালী, ডেলফোজ
উৎস: [কৃষি তথ্য সার্ভিস]

0
Updated: 3 weeks ago
সর্বশেষ কৃষি শুমারি কোন সালে অনুষ্ঠিত হয়? (সেপ্টেম্বর-২০২৫)
Created: 1 day ago
A
২০১৯ সালে
B
২০১৭ সালে
C
২০২১ সালে
D
২০১৮ সালে
কৃষি শুমারি
-
স্বাধীনতার পর প্রথম কৃষি শুমারি: ১৯৭৭ সালে
-
স্বাধীনতার পূর্বে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান): ১৯৬০ সালে সর্বপ্রথম অনুষ্ঠিত
-
কৃষি শুমারিতে অন্তর্ভুক্ত বিষয়: ৩ টি — শস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ
-
মোট কৃষি শুমারি বাংলাদেশে: ৬ টি
-
সর্বশেষ কৃষি শুমারি: ২০১৯ সালে
-
স্লোগান: "কৃষি শুমারি সফল করি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ি"
-
পরিচালনা: পরিসংখ্যান ব্যুরো, বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থার গাইডলাইন অনুসারে
উৎস: কৃষি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট এবং বিবিএস

0
Updated: 1 day ago