উনিশ শতকে বাংলা গদ্যের গঠনে কোন পত্রিকার অবদান অবিস্মরণীয়?
A
পূর্বাশা
B
পরিচয়
C
কল্লোল
D
বঙ্গদর্শন
উত্তরের বিবরণ
• 'বঙ্গদর্শন' পত্রিকা:
- উনিশ শতকের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য, বিশেষত বাংলা গদ্যের গঠনে 'বঙ্গদর্শন' পত্রিকার অবদান অবিস্মরণীয়। ১৮৭২ সালে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কর্তৃক 'বঙ্গদর্শন' পত্রিকাটি প্রথম প্রকাশিত হয়।
- পত্রিকাটি ১৮৭৬ পর্যন্ত মাত্র চার বছর প্রকাশিত হয়। বঙ্গদর্শনের ভাষা ছিল খুব উন্নত মানের সাধু বাংলা। সাহিত্য, সমাজ, বিজ্ঞান, রাজনীতি, ধর্মতত্ত্ব ও দর্শন সম্পর্কিত মূল্যবান প্রবন্ধ এবং উপন্যাস এতে প্রকাশিত হতো।
- বঙ্গদর্শনকে তখন শিক্ষিত বাঙালি সমাজের প্রথম মুখপত্র বলা হতো, কেননা বাঙালি জাতির আধুনিক চিন্তা ও মনন এর মাধ্যমেই প্রথম প্রকাশ লাভ করে।
- বঙ্গদর্শনের প্রধান লেখক বঙ্কিমচন্দ্র হলেও গঙ্গাচরণ, রামদাস সেন, অক্ষয় সরকার, চন্দ্রনাথ বসু প্রমুখ পন্ডিতও এতে নিয়মিত লিখতেন।
- বঙ্কিমচন্দ্রের পরে তাঁর ভাই সঞ্জীবচন্দ্র ও শ্রীশচন্দ্র স্বল্প সময় বঙ্গদর্শন সম্পাদনা করেন।
- ২০০০ সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গের নৈহাটিস্থ বঙ্কিমভবন গবেষণাকেন্দ্র কর্তৃক বঙ্গদর্শন নবরূপে ষান্মাসিক পত্রিকা হিসেবে প্রকাশিত হচ্ছে।
0
Updated: 1 month ago
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোন উপন্যাসে আধ্যাত্মিক অনুসন্ধান ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি বিশেষভাবে ফুটে উঠেছে?
Created: 1 month ago
A
পথের পাঁচালী
B
দৃষ্টিপ্রদীপ
C
ইছামতী
D
আরণ্যক
দৃষ্টিপ্রদীপ বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি উল্লেখযোগ্য উপন্যাস, যেখানে আধ্যাত্মিকতা ও সামাজিক প্রেক্ষাপট একত্রে মিশে গেছে। এটি প্রথমে প্রবাসী পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয় এবং পরে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। উপন্যাসটি মূলত জিতু নামের এক যুবকের জীবনকেন্দ্রিক, যিনি আধ্যাত্মিক অনুসন্ধান ও সমাজের প্রচলিত রীতিনীতির প্রতি নিজের ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে পাঠকের মনে গভীর ছাপ ফেলে।
উপন্যাসের বিষয়বস্তু ও প্রেক্ষাপট
-
কেন্দ্রীয় চরিত্র জিতু দার্জিলিংয়ে তার ভাই নিতাই ও বোন সীতাকে নিয়ে বসবাস করে।
-
জিতুর অভ্যন্তরীণ আধ্যাত্মিক যাত্রা ও জীবনযাত্রার নানা দিক উপন্যাসে ফুটে উঠেছে।
-
সমাজের কুসংস্কার ও প্রচলিত রীতিনীতির প্রতি তার প্রশ্নবিদ্ধ দৃষ্টিভঙ্গি এখানে গুরুত্বপূর্ণ।
-
জিতুর চরিত্রের মাধ্যমে লেখক মানবজীবনের গভীর দার্শনিক প্রশ্ন ও আধ্যাত্মিক উপলব্ধি অন্বেষণ করেছেন।
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
-
জন্ম: ১৮৯৪, চব্বিশ পরগনার মুরারিপুর গ্রাম।
-
বাংলা কথাসাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় শিল্পী।
-
শেষ উপন্যাস: ইছামতী (১৯৫০ সালে প্রকাশিত)।
-
ইছামতী উপন্যাসের জন্য তিনি ১৯৪৯ সালে রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন।
-
মৃত্যু: ১৯৫০ সালের ১লা সেপ্টেম্বর।
উল্লেখযোগ্য উপন্যাসসমূহ
-
পথের পাঁচালী
-
অপরাজিতা
-
আরণ্যক
-
ইছামতী
-
দৃষ্টিপ্রদীপ
ছোটগল্পগ্রন্থ
-
মেঘমল্লার
-
মৌরীফুল
-
যাত্রাবদল
-
কিন্নরদল
কিছু উপন্যাসের বৈশিষ্ট্য
-
পথের পাঁচালী: গ্রামীণ জীবনের বাস্তব চিত্র, শৈশব-কৈশোরের স্মৃতিকাতরতা, পারিবারিক জীবনের সুখ-দুঃখ।
-
ইছামতী: প্রেম ও বিরহ, নদীকেন্দ্রিক জীবনযাত্রা, প্রকৃতি ও মানুষের সম্পর্ক।
-
আরণ্যক: বনজীবনের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা, প্রকৃতিপ্রেম ও অরণ্যচারী জীবন, দুর্গম অঞ্চলের জীবনযাত্রা।
0
Updated: 1 month ago
’দি আগলি এশিয়ান’ উন্যাসের রচয়িতা কে?
Created: 1 month ago
A
হুমায়ূন আহমেদ
B
সৈয়দ আলী আহসান
C
শওকত ওসমান
D
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্
• ‘দি আগলি এশিয়ান’ উপন্যাস:
- ‘দি আগলি এশিয়ান’ সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ রচিত একটি উপন্যাস।
- এ উপন্যাসে পূর্ববঙ্গের রাজধানী শহরকে (নাম নেয়া হয়নি) কেন্দ্র করে রাজনীতিতে আমেরিকার হস্তক্ষেপ, সেনাবাহিনীকে দিয়ে সামরিক আইন জারি, সাধারণ মানুষের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার খর্ব করা, দেশে সাম্যবাদী উত্থান প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত করা ইত্যাদি প্রধান হয়ে উঠেছে।
- সামরিক আইন জারি করিয়ে সেনাবাহিনী দিয়ে বা নিজেদের সমর্থনপুষ্ট পুঁজিবাদীদের কাজে লাগিয়ে মার্কিন দেশ তখন এশিয়ার প্রতিটি দেশেই নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে ব্যস্ত ছিল।
- এশিয়ার এই কদর্য রূপকেই সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ এই উপন্যাসে তুলে ধরেছেন।
• সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ:
- সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ ছিলেন একজন কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার।
- তিন ১৯২২ সালের ১৫ আগস্ট চট্টগ্রামের ষোলশহরে সৈয়দ বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন।
- তিনি ফেনি স্কুলের ছাত্রাবস্থায় ‘ভোরের আলো’ নামে হাতে লেখ পত্রিকার সম্পাদনা করেন।
- তাঁর প্রকাশিত প্রথম গল্প ‘হঠাৎ আলোর ঝলকানি’। এটি ঢাকা কলেজ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়।
- ১৯৪৫ থেকে ১৯৪৭ পর্যন্ত কলকাতার ‘দৈনিক স্টেটসম্যান’ পত্রিকার সহকারী সম্পাদক হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন।
- তারঁ রচিত প্রথম উপন্যাস ‘লালসালু’ (১৯৪৮)।
• তাঁর রচিত অন্যান্য উপন্যাস:
- চাঁদের অমাবস্যা,
- কাঁদো নদী কাঁদো।
- দি আগলি এশিয়ান।
• তাঁর রচিত গল্পগ্রন্থ:
- নয়নচারা,
- দুই তীর ও অন্যান্য গল্প।
• তাঁর রচিত নাটক:
- বহিপীর,
- তরঙ্গভঙ্গ,
- সুরঙ্গ,
- উজানে মৃত্যু।
0
Updated: 1 month ago
'গফুর' শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত কোন ছোটগল্পের চরিত্র?
Created: 1 month ago
A
বিলাসী
B
মামলার ফল
C
সতী
D
মহেশ
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা ছোটগল্পগুলোতে মানবচরিত্র ও সমাজের বিভিন্ন সমস্যা অন্বেষণ করা হয়েছে। তার মধ্যে 'মহেশ', 'বিলাসী' এবং 'মামলার ফল' উল্লেখযোগ্য।
মহেশ:
-
এটি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের একটি সার্থক ছোটগল্প, প্রথম প্রকাশিত হয়েছে ১৯২৬ সালে।
-
গল্পের প্রধান চরিত্র মহেশ, একটি ষাঁড়ের নাম।
-
গল্পের অন্যান্য চরিত্র হলো:
-
গফুর
-
আমেনা
-
তর্করত্ন
-
জমিদার শিববাবু
-
বিলাসী:
-
গল্পে অস্পৃশ্যতার বিরোধ প্রদর্শিত হয়েছে মৃত্যুঞ্জয় ও বিলাসীর বিবাহের মাধ্যমে।
-
গল্পের ন্যারেটর বা ন্যাড়া চরিত্র আসলে লেখক নিজেই।
মামলার ফল:
-
গল্পের কেন্দ্রবিন্দু হলো দুই ভাই, শিবু ও শম্ভু।
-
নিঃসন্তান সঙ্গামণির অপত্য স্নেহের মাধ্যমে শিশু গয়ারাম কাহিনীর মূল চরিত্র হিসেবে প্রাধান্য পায়।
0
Updated: 1 month ago