A
আইনের শাসন
B
জবাবদিহিতা
C
স্বজনপ্রীতি
D
ন্যায়পরায়ণতা
উত্তরের বিবরণ
স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতি সুশাসনের পরিপন্থী, কারণ এগুলো মেধা ও যোগ্যতার পরিবর্তে ব্যক্তিগত সম্পর্কের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণকে উৎসাহিত করে। এর ফলে সমতা, ন্যায়পরায়ণতা ও স্বচ্ছতার নীতি লঙ্ঘিত হয়।
সুশাসন:
-
সুশাসন একটি সামাজিক ধারণা।
-
সুশাসন বলতে বোঝায় যথাযথভাবে শাসন বা ভালোভাবে শাসন।
-
সুশাসনের পূর্বশর্ত হলো স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা।
-
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা ব্যতীত দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।
-
অংশগ্রহণ ও ই-গভর্ন্যান্স সুশাসন প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি, অস্বচ্ছতা ও স্বেচ্ছাচারিতা সুশাসনের অন্তরায়।
-
বাংলাদেশে উন্নয়ন ও সুশাসনের অন্যতম বড় অন্তরায় হলো দুর্নীতি।
সূত্র: পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, মো: মোজাম্মেল হক।

0
Updated: 1 day ago
আইনের প্রাচীনতম উৎস কোনটি?
Created: 1 day ago
A
ধর্ম
B
আইনসভা
C
প্রথা
D
বিচারকের রায়
-
রাষ্ট্র ও আইনসভা প্রতিষ্ঠার বহু আগে থেকেই সমাজে প্রথা বিদ্যমান ছিল। মানুষের আচার-আচরণ ও রীতিনীতি দীর্ঘদিন ধরে পালিত হতে হতে প্রথাভিত্তিক আইনে পরিণত হয়। তাই প্রথাই আইনের প্রাচীনতম উৎস।
আইন:
-
ফার্সি ভাষায় "আইন" শব্দের অর্থ সুনির্দিষ্ট নীতি বা নিয়ম।
-
সমাজ জীবনে প্রচলিত বিধি-বিধানকেই আইন বলা হয়।
-
মানবজাতির বৃহত্তর কল্যাণে মানুষের আচার-আচরণ নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্র যে বিধিনিষেধ প্রণয়ন করে, সাধারণভাবে সেগুলোকেই আইন বলা হয়।
-
আইন বিভিন্ন উৎস থেকে সৃষ্টি হয়েছে।
-
আইনের উৎসসমূহ হলো: প্রথা বা রীতিনীতি, ধর্ম, বিচারকের রায়, ন্যায়বিচার, বিজ্ঞানসম্মত আলোচনা ও আইনসভা।
-
আইনের অন্যতম প্রাচীন উৎস হলো প্রথা।
-
প্রাচীনকাল থেকে সমাজে অধিকাংশ মানুষের দ্বারা সমর্থিত, স্বীকৃত ও পালিত আচার-ব্যবহার, রীতি-নীতি ও অভ্যাসকেই প্রথা বলা হয়।
-
প্রাচীনকালে কোনো লিখিত আইনের অস্তিত্ব ছিল না।
-
তখন মানুষের আচরণ প্রথা, অভ্যাস ও রীতি-নীতির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হতো।
-
কালক্রমে অনেক প্রথা রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত হয়ে আইনের মর্যাদা লাভ করে।
উৎস: পৌরনীতি, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং পৌরনীতি ও সুশাসন, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, মোঃ মোজাম্মেল হক।

0
Updated: 1 day ago
কোন দার্শনিকদের মতে মানুষ শুধুমাত্র 'শাস্তির ভয়ে' আইন মেনে চলে?
Created: 1 day ago
A
লক, রুশো ও গ্রীন
B
প্লেটো, অ্যারিস্টটল ও মন্টেস্কু
C
হবস, বেন্থাম ও অস্টিন
D
মার্ক্স, এঙ্গেলস ও লেনিন
-
হবস, বেন্থাম এবং অস্টিন মনে করতেন যে, রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের আরোপিত শাস্তির ভয়ই হলো আইন মেনে চলার প্রধান প্রেরণা। তারা আইনের নৈতিক বা যৌক্তিক দিকের চেয়ে এর শাস্তিমূলক বৈশিষ্ট্যকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন।
আইন মান্য করার কারণ:
-
আইন শাসন নিশ্চিত করতে আইন মেনে চলা গুরুত্বপূর্ণ।
-
প্রত্যেক আইনেই কিছু নির্দেশনা থাকে এবং তা অমান্য করলে শাস্তির ব্যবস্থা থাকে।
-
আইন মান্য করার বিভিন্ন কারণের মধ্যে একটি হলো আইন কার্যকর ও উপযোগী হওয়া।
লর্ড ব্রাইস আইন মান্য করার কারণগুলোকে পাঁচটি ভাগে বিভক্ত করেছেন:
১. যৌক্তিকতার উপলব্ধি
২. অপরের প্রতি শ্রদ্ধা
৩. নির্লিপ্ততা
৪. সহানুভূতি
৫. শাস্তির ভয়
সূত্র: পৌরনীতি ও সুশাসন প্রথম পত্র, এইচ এস সি, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 day ago
অধ্যাপক হল্যান্ডের মতে নিচের কোনটি আইনের উৎস নয়?
Created: 1 day ago
A
প্রথা
B
ধর্ম
C
জনমত
D
বিচারকের রায়
-
অধ্যাপক হল্যান্ড আইনের ৬টি উৎস উল্লেখ করেছেন।
-
তিনি জনমতকে সরাসরি আইনের উৎস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেননি।
অধ্যাপক হল্যান্ডের মতে আইনের উৎসগুলো হলো:
১. প্রথা
২. ধর্ম
৩. বিচারকের রায়
৪. ন্যায়বিচার
৫. বিজ্ঞানসম্মত আলোচনা
৬. আইনসভা
ওপেনহাইমের মতে আইনের উৎস ৭টি:
১. প্রথা
২. ধর্ম
৩. বিচারকের রায়
৪. ন্যায়বিচার
৫. বিজ্ঞানসম্মত আলোচনা
৬. আইনসভা
৭. জনমত
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, প্রফেসর মোঃ মোজাম্মেল হক।

0
Updated: 1 day ago