রাষ্ট্রের ৪র্থ স্তম্ভ (Fourth Estate) কাকে বলা হয়?
A
রাজনীতি
B
বুদ্ধিজীবী
C
সংবাদ মাধ্যম
D
যুবশক্তি
উত্তরের বিবরণ
-
সংবাদমাধ্যম বা গণমাধ্যম সরকারের কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে প্রহরীর ভূমিকা পালন করে। এই কারণে আইন, শাসন ও বিচার বিভাগের পর এটিকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে অভিহিত করা হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যম:
-
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ বলা হয়।
-
ব্রিটিশ পার্লামেন্টারিয়ান এডমন্ড বার্ক (Edmund Burke) প্রথম সংবাদপত্রকে "ফোর্থ এস্টেট" বা চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন।
-
তিনি ১৭৮৭ সালে হাউস অফ কমন্সে বিতর্কের সময় এই শব্দটি ব্যবহার করেন।
-
গণমাধ্যম যখন স্বাধীন থাকে, তখন এটি প্রকৃতপক্ষে জনগণের পক্ষে কথা বলতে পারে এবং সত্য প্রকাশের মাধ্যমে রাষ্ট্রের তিনটি স্তম্ভের ওপর নজরদারি রাখতে সক্ষম হয়।
-
গণমাধ্যমকে যদি কোনোভাবে দমন করা হয়, তখন সমাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা হ্রাস পায়, যা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য ক্ষতিকর।
সূত্র: পৌরনীতি ও নাগরিকতা, নবম-দশম শ্রেণি এবং প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)।
0
Updated: 1 month ago
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ‘আফসার ব্যাটালিয়ন’ প্রধানত কোন অঞ্চলে যুদ্ধ পরিচালনা করেছিল?
Created: 1 month ago
A
নোয়াখালী
B
রাজশাহী
C
ময়মনসিংহ
D
পাবনা
আঞ্চলিক মুক্তিবাহিনী – আফসার ব্যাটালিয়ন ও অন্যান্য বাহিনী
-
আফসার ব্যাটালিয়ন:
-
গঠিত: ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানার মাল্লিকবাড়ী গ্রামে
-
নেতৃত্ব: মেজর আফসার উদ্দিন আহমদ
-
কার্যপরিধি: দক্ষিণ ময়মনসিংহের ভালুকা, ত্রিশাল, ফুলবাড়ীয়া, গফরগাঁও; টাঙ্গাইলের কালিহাতী, ঘাটাইল, সখিপুর; গাজীপুরের শ্রীপুর ও কালিয়াকৈর
-
ভূমিকা: অনিয়মিত কিন্তু শক্তিশালী মুক্তিবাহিনী হিসেবে পাকসেনাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা।
-
-
অন্যান্য আঞ্চলিক বাহিনী:
-
কাদেরিয়া বাহিনী – টাঙ্গাইল
-
বাতেন বাহিনী – টাঙ্গাইল
-
হেমায়েত বাহিনী – গোপালগঞ্জ ও বরিশাল
-
হালিম বাহিনী – মানিকগঞ্জ
-
আকবর বাহিনী – মাগুরা
-
লতিফ মীর্জা বাহিনী – সিরাজগঞ্জ ও পাবনা
-
জিয়া বাহিনী – সুন্দরবন
-
-
ঢাকার গেরিলা দল:
-
পরিচিত: ‘ক্র্যাক প্লাটুন’
-
কার্যক্রম: ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ব্যাংক ও টেলিভিশন ভবনে বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো।
-
আফসার ব্যাটালিয়নসহ আঞ্চলিক বাহিনী ও ঢাকার গেরিলা দল মুক্তিযুদ্ধে স্থানীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকর অবদান রেখেছিল।
0
Updated: 1 month ago
যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয় কত সালে?
Created: 1 month ago
A
১৯৫৬ সালে
B
১৯৫৩ সালে
C
১৯৫২ সালে
D
১৯৫৪ সালে
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে যুক্তফ্রন্ট ছিল এক গুরুত্বপূর্ণ জোট, যা মূলত মুসলিম লীগের একক আধিপত্য ভাঙার উদ্দেশ্যে গঠিত হয়েছিল। নির্বাচনী রাজনীতিতে এটি ছিল জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন এবং গণআন্দোলনের এক গুরুত্বপূর্ণ মোড়।
-
১৯৫৩ সালের ১৪ নভেম্বর, ময়মনসিংহে অনুষ্ঠিত আওয়ামী মুসলিম লীগের কাউন্সিলে ‘যুক্তফ্রন্ট’ গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
-
যুক্তফ্রন্ট মূলত চারটি বিরোধী রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত হয়:
-
মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী মুসলিম লীগ,
-
শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের কৃষক-শ্রমিক পার্টি,
-
মওলানা আতাহার আলীর নেজামে ইসলাম পার্টি,
-
হাজী দানেশের নেতৃত্বাধীন বামপন্থী গণতন্ত্রী দল।
-
-
তবে বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইতে সংশোধন আকারে উল্লেখ করা হয়েছে যে, যুক্তফ্রন্ট প্রধানত ৫টি দলের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছিল।
-
নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের প্রতীক ছিল ‘নৌকা’।
-
আওয়ামী মুসলিম লীগের নির্বাচনী কর্মসূচির ৪২ দফা দাবি থেকে প্রধান প্রধান দাবি নিয়ে যুক্তফ্রন্ট গড়ে তোলা হয়।
-
যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনের জন্য ২১ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করে।
-
আবুল মনসুর আহমদ ছিলেন এই ২১ দফা কর্মসূচির মুখ্য রচয়িতা।
0
Updated: 4 weeks ago
'দানসাগর' ও 'অদ্ভুতসাগর' গ্রন্থ দুটি কে রচনা করেন?
Created: 1 month ago
A
বিজয়সেন
B
বল্লালসেন
C
লক্ষ্মণসেন
D
জয়দেব সেন
সেন রাজা বল্লালসেন একজন সুপণ্ডিত রাজা ছিলেন এবং তিনি ‘দানসাগর’ ও ‘অদ্ভুতসাগর’ নামক দুটি বিখ্যাত স্মৃতিশাস্ত্র গ্রন্থ রচনা করেন।
বল্লাল সেন:
-
বিজয় সেনের মৃত্যুর পর আনুমানিক ১১৬০ সালে তার পুত্র বল্লাল সেন সিংহাসনে আরোহণ করেন।
-
তিনি রাজ্য জয়ের চেয়ে দেশের ভেতরে উন্নয়ন, নতুন প্রথা চালু এবং সংস্কারের কাজে বেশি মনোযোগী ছিলেন।
-
গোবিন্দপালকে পরাজিত করে মগধের পূর্বাঞ্চল অধিকার করেন।
-
কথিত আছে যে, তিনি তাঁর পিতার রাজত্বকালে মিথিলা জয় করেন।
-
বল্লাল সেন ছিলেন বিদ্যান ও বিদ্যোৎসাহী রাজা।
-
তিনি ব্রতসাগর, আচারসাগর, প্রতিষ্ঠাসাগর, দানসাগর, অদ্ভুতসাগর নামে পাঁচটি গ্রন্থ রচনা করেন।
-
কৌলিন্য প্রথার প্রবর্তক হিসেবে ইতিহাসে বিশেষভাবে পরিচিত।
-
পিতার ন্যায় তিনি শৈব ধর্মের অনুগামী ছিলেন।
-
ধর্মপ্রচারে তার বিশেষ আগ্রহ ছিল।
-
তিনি তার পিতার অন্যান্য উপাধির সঙ্গে ‘অরিরাজ নিঃশঙ্কর’ উপাধি গ্রহণ করেন।
-
আনুমানিক ১৮ বছর রাজত্ব করার পর বৃদ্ধ বয়সে পুত্র লক্ষণ সেনের হাতে রাজ্যভার হস্তান্তর করেন এবং সস্ত্রীক ত্রিবেণীর কাছে গঙ্গাতীরে বাণপ্রস্থ অবলম্বন করে শেষ জীবন অতিবাহিত করেন।
সূত্র:
0
Updated: 1 month ago