সুশাসনের পথে প্রধান অন্তরায় কোনটি?
A
আইনের শাসন
B
জবাবদিহিতা
C
স্বজনপ্রীতি
D
ন্যায়পরায়ণতা
উত্তরের বিবরণ
স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতি সুশাসনের পরিপন্থী, কারণ এগুলো মেধা ও যোগ্যতার পরিবর্তে ব্যক্তিগত সম্পর্কের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণকে উৎসাহিত করে। এর ফলে সমতা, ন্যায়পরায়ণতা ও স্বচ্ছতার নীতি লঙ্ঘিত হয়।
সুশাসন:
-
সুশাসন একটি সামাজিক ধারণা।
-
সুশাসন বলতে বোঝায় যথাযথভাবে শাসন বা ভালোভাবে শাসন।
-
সুশাসনের পূর্বশর্ত হলো স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা।
-
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা ব্যতীত দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।
-
অংশগ্রহণ ও ই-গভর্ন্যান্স সুশাসন প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি, অস্বচ্ছতা ও স্বেচ্ছাচারিতা সুশাসনের অন্তরায়।
-
বাংলাদেশে উন্নয়ন ও সুশাসনের অন্যতম বড় অন্তরায় হলো দুর্নীতি।
সূত্র: পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, মো: মোজাম্মেল হক।
0
Updated: 1 month ago
উর্দু ও ইংরেজির পাশাপাশি বাংলাকে গণপরিষদের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ব্যবহারের দাবি উত্থাপনকারী ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত কোন রাজনৈতিক সদস্য ছিলেন?
Created: 3 weeks ago
A
মুসলিম লীগ
B
কৃষক প্রজা পার্টি
C
স্বরাজ দল
D
কংগ্রেস
ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত উর্দু ও ইংরেজির পাশাপাশি বাংলাকেও গণপরিষদের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতির দাবিদার ছিলেন। তিনি ১৮৮৬ সালের ২ নভেম্বর (১২৯৩ বাংলা সালের ১৬ কার্তিক) ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের উত্তরে রামরাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা জগবন্ধু দত্ত ছিলেন মুনসেফ কোর্টের সেরেস্তাদার।
-
শিক্ষা:
-
১৯০৪ সালে নবীনগর হাই স্কুল থেকে প্রবেশিকা
-
১৯০৮ সালে কলকাতা রিপন কলেজ থেকে বি.এ
-
১৯১০ সালে একই কলেজ থেকে বি.এল পরীক্ষা পাশ
-
-
পেশাগত জীবন: ১৯১১ সালে কুমিল্লা জেলা বারে যোগদান
-
সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড:
-
১৯০৭ সালে ত্রিপুরা হিতসাধনী সভার সেক্রেটারি নির্বাচিত
-
১৯৪৮ সালে গণপরিষদের অধিবেশনে কংগ্রেস দলীয় সদস্য হিসেবে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ব্যবহারের দাবি উত্থাপন
-
-
উপলব্ধি:
-
১৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত
-
১৯৫৬ সালের সংবিধানে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি
-
0
Updated: 3 weeks ago
ওয়েজ আর্নার্স স্কিম কত সালে প্রবর্তিত হয়েছিল?
Created: 1 month ago
A
১৯৭২ সালে
B
১৯৭৩ সালে
C
১৯৭৪ সালে
D
১৯৭৫ সালে
ওয়েজ আর্নার্স স্কিম ১৯৭৪ সালে প্রবর্তিত হয়। এই স্কিমের মূল উদ্দেশ্য ছিল বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি নাগরিকদের অর্জিত আয় সরকারি চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে প্রেরণের জন্য উৎসাহ প্রদান করা। বৈদেশিক মুদ্রা মজুত থাকার কারণে আমদানিকারকরা অনুকূলে বৈদেশিক মুদ্রা পেতেন না, ফলে স্কিমটি কার্যকর হয়। এছাড়া, প্রবাসী শ্রমজীবীদের প্রেরিত অর্থ খোলাবাজার বিনিময় হারের কাছাকাছি হারে বিনিময়ের জন্যও স্কিমটি চালু করা হয়।
প্রবাসী কর্মীদের অবদান এবং তাদের পরিবারকে সহায়তা, উদ্ভূত সমস্যা সমাধান এবং সার্বিক কল্যাণমূলক কার্যক্রম পরিচালনার উদ্দেশ্যে সরকার ১৯৯০ সালে Emigration Ordinance-1982 এর ১৯(১) ধারার ক্ষমতায় “ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ তহবিল” গঠন করে। পরবর্তীতে “ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড আইন, ২০১৮” এর মাধ্যমে এই বোর্ডকে একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্য সংখ্যা কত ছিল?
Created: 1 month ago
A
৩০ জন
B
৩২ জন
C
৩৪ জন
D
৪০ জন
সংবিধান হলো বাংলাদেশের প্রধান আইন এবং রাষ্ট্রের কাঠামো নির্ধারণকারী দলিল, যা গঠন, গৃহীত ও কার্যকর হওয়ার মাধ্যমে প্রয়োগে আসে।
-
১৯৭২ সালের ১১ এপ্রিল, গণপরিষদের প্রথম অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে সংবিধানের খসড়া প্রণয়নের উদ্দেশ্যে ড. কামাল হোসেনকে আহবায়ক করে ৩৪ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।
-
১৭ এপ্রিল, খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
-
১২ অক্টোবর, খসড়া সংবিধান গণপরিষদে উত্থাপন করা হয়।
-
৪ নভেম্বর, গণপরিষদে বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হয়।
-
১৫ ডিসেম্বর, গণপরিষদ সদস্যরা সংবিধানে স্বাক্ষর করেন।
-
সবশেষে ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর, বাংলাদেশের সংবিধান কার্যকর হয়।
0
Updated: 4 weeks ago