রাষ্ট্রবিজ্ঞানী জন অস্টিনের মতে আইনের উৎস কয়টি?
A
১টি
B
২টি
C
৪টি
D
৬টি
উত্তরের বিবরণ
-
জন অস্টিন আইনের দৃষ্টবাদী তত্ত্বের কঠোর সমর্থক ছিলেন। তার মতে, আইনের একমাত্র উৎস হলো ‘সার্বভৌমের আদেশ’ (Sovereign Command)।
আইন:
-
আইন হলো ব্যক্তির বাহ্যিক আচরণ নিয়ন্ত্রণমূলক নিয়মের সমষ্টি, যা সমাজ ও রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত।
-
জন অস্টিনের মতে আইনের উৎস মাত্র ১টি:
১. সার্বভৌমের আদেশ। -
অধ্যাপক হল্যান্ডের মতে আইনের উৎস ৬টি:
১. প্রথা
২. ধর্ম
৩. বিচারকের রায়
৪. ন্যায়বিচার
৫. বিজ্ঞানসম্মত আলোচনা
৬. আইনসভা -
ওপেনহাইমের মতে আইনের উৎস ৭টি:
১. প্রথা
২. ধর্ম
৩. বিচারকের রায়
৪. ন্যায়বিচার
৫. বিজ্ঞানসম্মত আলোচনা
৬. আইনসভা
৭. জনমত
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, প্রফেসর মোঃ মোজাম্মেল হক।
0
Updated: 1 month ago
রাজনৈতিক দল হচ্ছে -
Created: 1 month ago
A
ধর্মভিত্তিক সংগঠন
B
বিক্ষিপ্ত জনগোষ্ঠী
C
ঐক্যবদ্ধ, সচেতন ও ক্ষমতায় আগ্রহী জনগোষ্ঠী
D
কেবল মাত্র নির্বাচনকালীন সংগঠন
রাজনৈতিক দল হলো একটি সংঘবদ্ধ জনসমষ্টি, যা রাষ্ট্রের সমস্যা সম্পর্কে ঐকমত্য পোষণ করে এবং নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ক্ষমতা অর্জনের মাধ্যমে তাদের নীতি ও কর্মসূচি বাস্তবায়নে সচেষ্ট থাকে। এই দলগুলি জাতীয় স্বার্থে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে এবং সরকার গঠনে প্রতিযোগিতা করে।
-
সংজ্ঞা অনুযায়ী:
-
যখন কোন জনসমষ্টি রাষ্ট্রের সমস্যা সম্পর্কে একমত পোষণ করে, নিয়মতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা অর্জনের আগ্রহী এবং রাজনীতি সচেতন হয়ে সংঘবদ্ধ হয়, তখন তাকে রাজনৈতিক দল বলা হয়।
-
বার্ক: "রাজনৈতিক দল হলো এমন একটি জনসমষ্টি যারা কিছু ঐক্যবদ্ধ নীতির ভিত্তিতে জাতীয় স্বার্থ অর্জনের জন্য সংঘবদ্ধ হয়েছে।"
-
অধ্যাপক গেটেল: "রাজনৈতিক দল বলতে কম-বেশি সংগঠিত একদল লোককে বোঝায়, যারা রাজনৈতিকভাবে একরূপে কাজ করে এবং ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে সরকার গঠন ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে চায়।"
-
অধ্যাপক ফাইনার: "আধুনিক গণতান্ত্রিক শাসন কার্যত রাজনৈতিক দলের শাসন।"
-
ম্যাকাইভার: "রাজনৈতিক দল বলতে সেই জনগোষ্ঠীকে বোঝায় যারা সুনির্দিষ্ট নীতির ভিত্তিতে সম্মিলিত এবং নিয়মতান্ত্রিকভাবে সরকার গঠনে প্রয়াসী।"
-
অধ্যাপক সুম্পিটার: "রাজনৈতিক দল এমন একটি সংস্থা যার সদস্যবৃন্দ রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের প্রতিযোগিতায় ঐক্যবদ্ধ।"
-
-
উপসংহার: প্রকৃত রাজনৈতিক দল হলো এমন এক সংঘবদ্ধ জনসমষ্টি যা রাষ্ট্রের সমস্যা সম্পর্কে ঐকমত্য পোষণ করে এবং নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ক্ষমতা দখলের মাধ্যমে গৃহীত কর্মসূচি বাস্তবায়নে এগিয়ে যায়। এই দলের কাছে দেশের স্বার্থ নেতার বা দলের স্বার্থের চেয়ে বড়।
0
Updated: 4 weeks ago
বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সভাপতি কে ছিলেন?
Created: 1 month ago
A
ড. কামাল হোসেন
B
সৈয়দ নজরুল ইসলাম
C
তাজউদ্দিন আহমদ
D
আবু সাঈদ চৌধুরী
১৯৭২ সালের ১১ এপ্রিল গণপরিষদে সংবিধানের খসড়া প্রণয়নের জন্য গঠিত ৩৪ সদস্যের কমিটির সভাপতি ছিলেন ড. কামাল হোসেন, যিনি তখন আইন ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন।
প্রধান তথ্যসমূহ:
-
সংবিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে আইন বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেনকে সভাপতি করে ৩৪ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।
-
১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর সংবিধান কার্যকর হয়।
-
হস্তলিখিত সংবিধানটির মূল লেখক ছিলেন শিল্পী আব্দুর রউফ।
-
সংবিধানের অঙ্গসজ্জা করেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন।
-
সংবিধানের প্রচ্ছদে শীতলপাটির উপর লেখা ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান’।
-
গণপরিষদের ৩৯৯ জন সদস্য হস্তলিখিত মূল সংবিধানে স্বাক্ষর করেন; বাংলা ও ইংরেজী লিপিতে স্বাক্ষর করা হয় ১৫ ডিসেম্বর, ১৯৭২।
-
একমাত্র বিরোধী দলীয় সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সংবিধানে স্বাক্ষর করেননি।
0
Updated: 1 month ago
রাজনৈতিক দলের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হলো -
Created: 1 month ago
A
রাষ্ট্রীয় সমস্যা নির্ধারণ
B
সরকার গঠন করা
C
ভোটারদের স্বার্থ সংরক্ষণ
D
রাজনৈতিক সামাজিকীকরণ
গণতন্ত্রে রাজনৈতিক দলের কার্যাবলি
১. সরকার গঠন
-
রাজনৈতিক দলের প্রধান লক্ষ্য হলো সরকার গঠন করা।
-
নির্বাচনে যে দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে, সে দল সরকার গঠন করে।
২. রাষ্ট্রীয় সমস্যা নির্ধারণ
-
রাষ্ট্র ও সমাজের প্রধান সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে রাজনৈতিক দলসমূহ।
৩. নীতি-নির্ধারণ ও কর্মসূচি প্রণয়ন
-
রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য বিভিন্ন নীতি ও কর্মসূচি প্রণয়ন করে।
৪. জনমত গঠন
-
বিভিন্ন ইস্যুতে জনমত তৈরি ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি করে।
৫. প্রার্থী মনোনয়ন ও প্রচারণা
-
নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য প্রার্থী মনোনয়ন করে এবং তাদের জন্য প্রচারণা চালায়।
৬. ভোটারদের স্বার্থ সংরক্ষণ
-
জনগণের স্বার্থকে সামনে রেখে সরকার ও প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টি করে।
৭. বিরোধী ভূমিকা পালন
-
সরকারে না থাকলে বিরোধী দল হিসেবে সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করে।
৮. রাজনৈতিক চেতনা ও শিক্ষার প্রসার
-
জনগণকে রাজনীতি সচেতন ও শিক্ষিত করে তোলে।
৯. স্বেচ্ছাচার প্রতিরোধ
-
সরকারের স্বৈরাচারী প্রবণতা রোধে ভূমিকা পালন করে।
১০. রাজনৈতিক সামাজিকীকরণ
-
জনগণকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করে।
১১. শান্তিপূর্ণ ও সাংবিধানিক পদ্ধতিতে ক্ষমতা পরিবর্তন
-
নির্বাচন ও সাংবিধানিক নিয়মের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন করে।
১২. সরকারের বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে সংযোগ সাধন
-
আইনসভা, নির্বাহী বিভাগ ও জনগণের মধ্যে যোগসূত্র রক্ষা করে।
১৩. জাতীয় ঐক্যবোধ সৃষ্টি
-
ভেদাভেদ দূর করে জাতীয় সংহতি বৃদ্ধি করে।
১৪. সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা
-
সমতার ভিত্তিতে সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখে।
0
Updated: 4 weeks ago