কৃষি কাঠামো বলতে কি বুঝ।

Avatar

Shihabur Rahman

Academic

কৃষি কাঠামো বলতে কি বুঝ। 

ভূমিকা: দেশের সমগ্র অর্থনীতির পরিপ্রেক্ষিতে কৃষিখাতের অবস্থান, কৃষিতে উৎপাদনের একক বা তার প্রকৃতি, চাষির উৎপাদনের উদ্দেশ্য, ব্যবহৃত উপকরণ সমন্বয়, কৃষিখাতের অধীনে বিভিন্ন উপখাত ও তাদের আপেক্ষিক গুরুত্ব, ভূমিস্বত্ব ব্যবস্থা ইত্যাদির সমন্বয়ে কৃষিখাতের যে অবয়ব সৃষ্টি হয় তাকে কৃষি কাঠামো বলে ।

 

প্রামাণ্য সংজ্ঞা: বিভিন্ন সমাজবিজ্ঞানী কৃষি কাঠামোকে বিভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। নিম্নে তাঁদের মধ্য থেকে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সংজ্ঞা তুলে ধরা হলো:

        এ. বেতে (A. Bateille) বলেন, “মালিকানা নিয়ন্ত্রণ ও ভূমির ব্যবহার কৃষি কাঠামোর কেন্দ্রীয় নির্দেশক”। এছাড়া তিনি কৃষি সম্পর্কিত ক্রমোচ্চ বিন্যাসকে পারিবারিক মজুর, মজুর ও বর্গাদারি উৎপাদন প্রক্রিয়ার ভিত্তিতে ব্যাখ্যা করেছেন।

        সমাজবিজ্ঞানী কাতার সিং (Katar Sing) এর মতে, জমির যথাযথ ব্যবহারের জন্য কৃষি কাঠামো প্রয়োজনীয় যোগান ও সেবার সমর্থনে যৌথ চাষ ব্যবস্থা ও সহযোগিতার দ্বারা উৎকর্ষ ও শক্তিশালী কৃষক মালিকানার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠে।

 

বাংলাদেশের কৃষির বৈশিষ্ট্য: বাংলাদেশের কৃষির প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ :

 

১. দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের বেশিরভাগ কৃষিক্ষেত্রে সংঘটিত হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কৃষকরা এখনো গতানুগতিক ও অবৈজ্ঞানিক পন্থায় চাষাবাদ করে।

২. কৃষিভিত্তিক দেশ হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ পৃথিবীর স্বল্প ফলনশীল দেশগুলোর অন্যতম।

৩. কৃষিক্ষেত্রে আধুনিক প্রায়োগিক জ্ঞানের অনুপস্থিতিই এ নিম্ন উৎপাদনশীলতার জন্য প্রধানত দায়ী। প্রকৃতির উপর নির্ভরশীলতা বাংলাদেশের কৃষির অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য।

৪. আমাদের দেশের অধিকাংশ কৃষি জোত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র খণ্ডে বিভক্ত এবং মাঠের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্নভাবে অবস্থিত ।

৫. বাংলাদেশের কৃষকদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বর্গাদার কিংবা দিনমজুর হিসেবে অন্যের জমি চাষাবাদ করে। জমির প্রকৃত মালিক না হওয়ায় চাষাবাদে তারা উৎসাহ বোধ করে না।

৬. উপযুক্ত পানি সেচ ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার অভাবে এদেশের প্রায় শতকরা ৫ ভাগ চাষযোগ্য জমি বর্তমানে পতিত অবস্থায় রয়েছে।

৭. বাংলাদেশের মোট আবাদি জমির শতকরা ৮০ ভাগ জমিতেই খাদ্যশস্য উৎপাদন করা হয়।

৮. সাধারণ ও কৃষি বিষয়ক শিক্ষার অভাবে একদিকে যেমন তারা গোঁড়া অস্পষ্টবাদী ও কুসংস্কারে বিশ্বাসী, তেমনি অন্যদিকে চাষাবাদের আধুনিক কলাকৌশল সম্পর্কে অজ্ঞ ও উদাসীন।

৯. বাংলাদেশের অনেক কৃষিজমির মালিক তাদের গ্রামের জমিগুলো থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় শহরে বসবাস করে। কৃষি জমির মালিক জমি থেকে দূরে বসবাস করায় তাদের জমির তত্ত্বাবধান যথাযথ হয় না। ফলে উৎপাদন কম হয়।

১০. ভাগচাষ বা বর্গাদারি প্রথায় চাষাবাদ করা এদেশের কৃষির আর একটি বৈশিষ্ট্য।

 

উপসংহার: পরিশেষে বলা যায় যে, বাংলাদেশের কৃষিতে উলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলোর জন্য এখানকার কৃষির উৎপাদনশীলতা খুবই কম। এজন্য কৃষকদের আয়ও খুব কম এবং জীবনযাত্রার মান অতি নিম্ন।

 

 

 কৃষি কাঠামো বলতে কি বুঝ। [NU- 2017] krishi katham ki

ভূমিকা: দেশের সমগ্র অর্থনীতির পরিপ্রেক্ষিতে কৃষিখাতের অবস্থান, কৃষিতে উৎপাদনের একক বা তার প্রকৃতি, চাষির উৎপাদনের উদ্দেশ্য, ব্যবহৃত উপকরণ সমন্বয়, কৃষিখাতের অধীনে বিভিন্ন উপখাত ও তাদের আপেক্ষিক গুরুত্ব, ভূমিস্বত্ব ব্যবস্থা ইত্যাদির সমন্বয়ে কৃষিখাতের যে অবয়ব সৃষ্টি হয় তাকে কৃষি কাঠামো বলে ।

 

প্রামাণ্য সংজ্ঞা: বিভিন্ন সমাজবিজ্ঞানী কৃষি কাঠামোকে বিভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। নিম্নে তাঁদের মধ্য থেকে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সংজ্ঞা তুলে ধরা হলো:

        এ. বেতে (A. Bateille) বলেন, “মালিকানা নিয়ন্ত্রণ ও ভূমির ব্যবহার কৃষি কাঠামোর কেন্দ্রীয় নির্দেশক”। এছাড়া তিনি কৃষি সম্পর্কিত ক্রমোচ্চ বিন্যাসকে পারিবারিক মজুর, মজুর ও বর্গাদারি উৎপাদন প্রক্রিয়ার ভিত্তিতে ব্যাখ্যা করেছেন।

        সমাজবিজ্ঞানী কাতার সিং (Katar Sing) এর মতে, জমির যথাযথ ব্যবহারের জন্য কৃষি কাঠামো প্রয়োজনীয় যোগান ও সেবার সমর্থনে যৌথ চাষ ব্যবস্থা ও সহযোগিতার দ্বারা উৎকর্ষ ও শক্তিশালী কৃষক মালিকানার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠে।

 

বাংলাদেশের কৃষির বৈশিষ্ট্য: বাংলাদেশের কৃষির প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ :

 

১. দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের বেশিরভাগ কৃষিক্ষেত্রে সংঘটিত হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কৃষকরা এখনো গতানুগতিক ও অবৈজ্ঞানিক পন্থায় চাষাবাদ করে।

২. কৃষিভিত্তিক দেশ হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ পৃথিবীর স্বল্প ফলনশীল দেশগুলোর অন্যতম।

৩. কৃষিক্ষেত্রে আধুনিক প্রায়োগিক জ্ঞানের অনুপস্থিতিই এ নিম্ন উৎপাদনশীলতার জন্য প্রধানত দায়ী। প্রকৃতির উপর নির্ভরশীলতা বাংলাদেশের কৃষির অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য।

৪. আমাদের দেশের অধিকাংশ কৃষি জোত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র খণ্ডে বিভক্ত এবং মাঠের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্নভাবে অবস্থিত ।

৫. বাংলাদেশের কৃষকদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বর্গাদার কিংবা দিনমজুর হিসেবে অন্যের জমি চাষাবাদ করে। জমির প্রকৃত মালিক না হওয়ায় চাষাবাদে তারা উৎসাহ বোধ করে না।

৬. উপযুক্ত পানি সেচ ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার অভাবে এদেশের প্রায় শতকরা ৫ ভাগ চাষযোগ্য জমি বর্তমানে পতিত অবস্থায় রয়েছে।

৭. বাংলাদেশের মোট আবাদি জমির শতকরা ৮০ ভাগ জমিতেই খাদ্যশস্য উৎপাদন করা হয়।

৮. সাধারণ ও কৃষি বিষয়ক শিক্ষার অভাবে একদিকে যেমন তারা গোঁড়া অস্পষ্টবাদী ও কুসংস্কারে বিশ্বাসী, তেমনি অন্যদিকে চাষাবাদের আধুনিক কলাকৌশল সম্পর্কে অজ্ঞ ও উদাসীন।

৯. বাংলাদেশের অনেক কৃষিজমির মালিক তাদের গ্রামের জমিগুলো থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় শহরে বসবাস করে। কৃষি জমির মালিক জমি থেকে দূরে বসবাস করায় তাদের জমির তত্ত্বাবধান যথাযথ হয় না। ফলে উৎপাদন কম হয়।

১০. ভাগচাষ বা বর্গাদারি প্রথায় চাষাবাদ করা এদেশের কৃষির আর একটি বৈশিষ্ট্য।

 

উপসংহার: পরিশেষে বলা যায় যে, বাংলাদেশের কৃষিতে উলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলোর জন্য এখানকার কৃষির উৎপাদনশীলতা খুবই কম। এজন্য কৃষকদের আয়ও খুব কম এবং জীবনযাত্রার মান অতি নিম্ন।

 

 

 

Links

Home

Exams

Live Exam

© LXMCQ, Inc. - All Rights Reserved

Developed by WiztecBD